পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব মড়া অগলাতে কোন ব্যাটাকে পাওয়া যাবে না, কি বল ডাক্তার ? ডাকনা তোর দেওরের ছেলের লক্ষ্মী বৌকে, তোর দেওরের সেই ভাল ছেলেটী কোথায় আজ ? আমি ঠিক বলে রাখছি শরৎ আমরা তোরই বান্ধব, তোর স্বামীর বাহে প্ৰস্রাব কঁাড়িবার কেউ নই।” শয্যায় মৃত্যুবৎ পড়িয়া থাকিয়া রায় মহাশয় মৃদুকণ্ঠে বলিলেন “হঁ্যা বিধবার বান্ধব’ ! দাদা তেমনি ভাবেই বলিয়া উঠিলেন “তা বৈ কি ? বিধবার বান্ধবইত, আমার বোন কাল বিধবা হলো-আপনার জ্ঞাতিগুষ্টি এসে যে লুট পুটে খাবে সেটা আমরা কিছুতেই হতে দিচ্ছিনে। যা শরৎ বিছানাটা বদলে দেগে এই বলিয়া ডাক্তারকে লইয়া দাদা বাহির হইতেছিলেন,-শরৎ যোড় হাত করিয়া বলিল, “দোহাই দাদা, তোমার পায়ে পড়ি, আজকের রাতটা পার করে দাও । খোকারও জর করেছে, খালিই কঁদছে, খোঁকাকে নিয়ে এ ঘরে থাকতে সববাই মানা করছে !”— দাদা এবার মুখ ভেংচাইয়া বলিলেন—“মাকে যুদ্ৰা অপমান করেছিল তারা আজ কোথায় ? আমি আজকে এই বৃষ্টি বাদলে মড়া আগলে বসে থাকতে পারব না। তোর যা ইচ্ছে করিস”। এই বলিয়া তিনি চলিয়া যাইতেছিলেন। সহসা শরৎ পদাহত ফণিনীর মত ফণা বিস্তার করিয়া নাসারন্ধ, কঁপাইয়া উচ্চকণ্ঠে বলিয়া छेठिंबा, “যথার্থই তোমরা বিধবার বান্ধব, এখনও আমার বান্ধব হওয়ার প্ৰয়োজন বোধ করছ না, যে হেতু এখনো আমার হাতের নোয়া”- »à o