পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विश्वांद्र वांशीद - হঠাৎ শরতের মুখের দিকে তাকাইয়া যেন কি বলিবেন এরূপ ভাব প্ৰকাশ করিলেন, শরৎ তাহার বুকের উপর ঝুকিয়া পড়িল তাহার চোখের জল এবার রায় মহাশয়ের গলার দিকে পড়িল, রায় মহাশয় ধীরে ধীরে বলিলেন,-“ছি ! ছোট ? তুমি কেঁদনা, ভগবান তোমায় যত কষ্টই দিয়ে থাকুন, তার একটী মাত্র আশীৰ্ব্বাদ নিৰ্ম্মাল্যে তোমাকে সার্থক করে তুলেছে! তােমার আর যত দুঃখই থাক, চেয়ে দেখ তোমার বুকে কি পরম সাত্মনা।” শরৎ খোকার গায়ের পুলকম্পর্শ সারা দেহে প্ৰাণে উপভোগ করিতে যাইয়া দেখিলখোকার জ্বরের তাপ এখনও খুবই বেশী। শরৎ কিন্তু স্বামীর শেষ মুহুর্তে প্ৰাণ ধরিয়া এমন নিৰ্ম্মম কথাটা তাহাকে শুনাইতে সাহস করিল না। শরৎ মনে মনে ভগবানকে ডাকিয়া বলিল, “দীনের বান্ধব, তোমার আশীৰ্বাদ আমার খোকাকে ঘিরিয়া থাক। আমার আর কেউ রহিল না ঠাকুর”। প্ৰকাশ্যে কহিল-“আঁমি তোমার কিছুই কৰ্ত্তে পারলুম না, ওগো তোমার পায়ে পড়ি আমায় একবার মুখ ফুটে বল যে ক্ষমা করলে’ । রায় মহাশয় শরতের মাথায় রোগশীর্ণ হাতখানি রাখিাঁ বলিলেন “আমার ছোট!”-রায় মহাশয়ের চোখ ছাপাইয়া অশ্রু নিৰ্গত হইতে লাগিল। রায়মহাশয় কোন মতে কম্পিত কণ্ঠে-বলিলেন, “সাধিব, তোমার কোন অপরাধ নেই, বরং বৃদ্ধ বয়সে বৈষয়িক সুবিধার জন্যই তোমাকে আমি বিবাহ করেছিলুম, আমি তোমার মধ্যে স্বর্গের সন্ধান পেয়েছিলুম বলেই,-আমার নীরস প্ৰাণও সরস dòR