পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব হয়েছিল, কিন্তু তোমায়-” শরৎ এইবার ফোপাইয়া ফোপাইয়া , কঁদিতে লাগিল, আজ এই বর্ষণ-মুখর অন্ধকার দুর্ভেদ্য রজনীর উলঙ্গ ক্ৰোড়ে নিঃসহায় রুগ্ন-পতি-পুত্র ও নিজকে সপিয়া দিয়াও তাহার যেন তেমন নৈরাশ্য বা বিভীষিকা বোধ হইল না। স্বামীর পাশ্বের্ণ রুগ্ন পুত্রকে বুকে লইয়া আর স্বামীর শেষ মুহূৰ্ত্তের তৃপ্তি প্ৰদীপ্ত মুখচ্ছবি অবলোকন করিয়া শরৎ আজ সত্য সত্যই হৃদয়ে বল পাইয়া বলিয়া উঠিল-উচ্চকণ্ঠে দৃঢ়তর স্বরে শরৎ বলিল,-“দোহাই তোমার, আমাকে আর অপরাধী করোনা, তোমার সেবা করতে পেয়ে আমি ইহলোকেই স্বৰ্গ ভোগ করেছি। আমার আক্ষেপ রইল তোমার পায় মাথা রেখে’-রায়মহাশয় বাধা দিয়া বলিলেন,- “থাম, ছোট ! খোকাকে আমি তোমার কাছেই রেখে যাচ্ছি”- শরৎ বলিল,-“ওগো, তোমার দান আমি প্ৰাণ দিয়ে ঘিরে রাখবো, কিন্তু আমি তোমায় ভাল ডাক্তার দেখাতে পারলুম না, ভাল করে সেবা করতে পারলুম না,-আমার বাপ ভাইয়ের অপরাধের বোঝা আমার ঘাড়ে এমনি চেপে বসেছে যে আমি তার ভারে ও লজ্জায় যেন পাতালে ধ্বসে যাচ্ছি। -আমি কখনও ভাবিনি যে র্তারা—” শরৎ রূদ্ধ কণ্ঠে ফোপাইয়া কঁদিতে লাগিল। আর হাত জোড় করিয়া ভগবানের নিকট কঁাদিয়া কঁাদিয়া হৃদয়ের আকুল প্রার্থনা জানাইয়া কহিল “ঠাকুর, আজকের রাতটা পার কর-আমি আপশোষ মিটাইয়া ডাক্তার দেখাইব আর প্রাণ ভরিয়া সেবা কবিয়া লইব শুধু আজকের রাতটা”-আন্তে আস্তে দরজার বাহির হইতে }) 9