পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব পাইবে। যদি এক কপৰ্দকও অবশিষ্ট না থাকে তাহাতেও শরতের বিন্দুমাত্রও আক্ষেপ নাই। স্বামী পুত্রের হাত ধরিয়া ভিক্ষা করিয়া খাইবে ইহাতে একবিন্দু কপটতা নাই এক তিল বঞ্চনা নাই, তুমিত সকলই বুঝিতে পার অন্তৰ্য্যামি !-ভগবানের নাম লইতে যাইয়া এবার শরতের ধৈৰ্য্যের বঁাধ ভাঙ্গিয়া গেল। হুহু করিয়া অশ্রুরাশি ঋরিয়া পড়িতে লাগিল শরৎ সহসা দেখিল রায় মহাশয়ের চোখ কপালে উঠিয়াছো-শরৎ মুক্তকণ্ঠে চীৎকার করিতে যাইয়া হঠাৎ চমকিয়া উঠিয়া দেখিতে পাইল সহরের বড় ডাক্তার লইয়া তাহার দেবরপুত্র গিরীন বিদ্যুদ্বেগে ঘরে প্রবেশ করিল, শরৎ আর নিজকে সামলাইতে পারিল না। রুদ্ধ আবেগে একশ্বাসে বলিল “বাবা গিরীন এইবার-আমি নিশ্চিন্তু হ’য়ে চলুম-খোকাকে-বাবা-” বলিতে বলিতে শরৎ স্বামীর পায়ের গোড়ায় ধাপ করিয়া মূৰ্ছিত হইয়া পড়িয়া গেল, ডাক্তার দেখিলেন রায় মহাশয়ের সব শেষ হইয়া গিয়াছে। বেী চীৎকার করিয়া খোকাকে আপন কোলে লইবার জন্য হাত বাড়াইলে শরতের মাতা তেমনি নাকি সুরে বলিতে লাগিলেন, “আমি আমার সোণার পুতুলকে জ্ঞাতি-শক্রির কোলে “তুলে দিতে পারবো না গো-ওগো আমার কপােৱ গো !”-গিরীন এইবার চীৎকার করিয়া বলিল, “ছেড়ে দাও বলছি-এখনও, বুকের চাপে ছেলেটাকে পিষে মেরে ফেলছি তাকি দেখছি না ? রামবাবু, হা জ্যেঠা মহাশয়, একটিবার যদি-আমায় সংবাদ দিতেন !” বলিয়া গিরীন কঁাদিয়া উঠিল। ডাক্তার শিশুটিকে মাতামহীর মমতার SS by