পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামাতার জুলুম ===

  • জন্য রাস্তা আগলাইয়া দাড়াইয়া আছে। মেয়ের মুখের দিকে ‘ তাকাইয়া দেখিলাম কচিমুখখানি সাদা হইয়া গিয়াছে, চোখ দুটী ' ছলছল করিতেছে। জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলাম। এই দিন পনের হইয়াছে স্বামীর বন্ধুগণ অগ্রিম তিনমাসেরও ভাড়া একসঙ্গে তাহারই হাত হইতে লইয়া গিয়াছে ; রসিদ নাকি বন্ধুগণ আফিসের বাক্সে রাখিয়াছিলেন । বাড়ীওয়ালা তাহার। পাকা খাতা দেখাইয়া বলিল, “এই দেখুন। ছয়মাস ভাড়া দেওয়া হয়নি, কৰ্ম্মচারীরা একবছরের টাকা আগাম দেওয়ার আশ্বাসে আমাকে প্ৰবোধ দিয়ে বিদায় করেছেন। এতবড় বাবু এত মস্ত কারবার-আমি কি জানি মহাশয় ? আমার টাকা না দিলে আমি পুলিস ডাকব।” ছয়শত টাকা বাহির করিয়া দিয়া অজ্ঞানপ্ৰায় জামাতা বাবাজীকে লইয়া এই পীরগঞ্জে আসিয়াছি।

বাবাজীর এখনও বড় বড় “বোল চাল’ কমে নাই। একদিন বন্ধুপরিবারের দেওয়া সোনার গহনাগুলি ‘মেকি' বলিয়া যখন সৰ্ব্বসমক্ষে প্ৰমাণিত হইয়া গেল, সেইদিন তঁহাকে অপেক্ষাকৃত বিমর্ষ দেখিয়াছিলাম। বাবাজী এখন ভাল হইয়াছেন, হাজার দেড়েক টাকা খরচ করিয়া নিজ বাসাবাড়ীতে ডিসপেন্সারী খুলিয়া দিয়াছি । বাবাজী রোজই “ধরা চুড়া’ আঁটিয়া ‘কলএ বাহির হইয়া যান, আবার শুল্কমুখে ঘরের ছেলে ঘরেই ফিরিয়া আসেন। বাবাজী বলেনBDDDBBB BBDB KL ELBD D S SDB DDD কলিকাতা যাইয়া আরও একবার ভাগ্যপরীক্ষা করিয়া দেখেন।