পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামাতার জুলুম ভরসার দিন আর ফুৱাইতে চাহিত না, সেই দশম মাস আসিল, মেয়ে আমাদের সকল আশার মুখে নৈরাষ্ঠের কালিমা লেপন করিয়া দিয়া এবারও একটী কন্যা সন্তান প্রসব করিল। কেন এমন হয় ? পুত্রের সাধ ? শুধু সাধ নয়- একটা বংশ কেবল কঁাদি কঁাদি কন্যা ফলিলেই রক্ষা হয় না । পুত্ৰও যে চাই। আমার মেয়ের এতদিনের সাধ, জামাইয়ের এত আশা ভরসা, আমাদের এত প্ৰাৰ্থন আগ্রহ সমস্ত নিস্ফল করিয়া দিয়া বিধাতা তুমি এ কি খেলাটাই খেলিতে বসিয়াছ প্ৰভো ? মেয়ের আমার এই নিয়া চারিটিী কন্যা । আহা এক একটা কন্যা যেন ফুটন্ত পদ্মা ! তা হইলে কি হয় ? এযে বাঙ্গালী দেশ। এখানে কন্যার বাজার নেহাৎ মন্দা, শুধু কি তাই ? মেয়ের আমার এই চারিটী কন্যা প্রসবের অপরাধ চারটা খুনের অপরাধের চাইতে বেশী ছাড়া কম নয়। খুনের আসামীর বিচারে আদালতে বিচারকদিগের মধ্যে অনেক সময় মতভেদ হইতে দেখা গিয়া থাকে এবং তাহারই ফলে অনেক সময় আসামীকে’খালাস হইতে দেখা যায় কিন্তু হায় এই বাংলার সামাজিক আদালতে কন্যার জননীর অপরাধ সম্বন্ধে কদাচিৎ কাহারও মতভেদ হইয়াছে বলিয়া কেহ শুনিতে পায় নাই! মেয়ের এই চতুর্থ গৰ্ত্তেও কন্যা হওয়ার সংবাদে জামাইয়ের মুখে একটা অস্বাভাবিক ভাব লক্ষ্য করিয়াছি। তাহা বিষাদ বা বিরক্তির ভাব নহে, অথচ তাহা যে কি, সেইটা এখনো আমি পরিষ্কার ধরিতে S@ ዓ