পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামাতার জুলুম। (নবীন বাবুর কথা ) ছাই ফেলাইতে নাকি অনেক সময় ভাঙ্গা কুলার প্রয়োজন হইয়া থাকে। তাই এই আখ্যায়িকার শেষ অংশটুকু যত করুণাই হৌক আমাকেই বলিতে হইবে। যেহেতু আমার মত এমন হতভাগ্য সংসারশূন্য পরগলগ্রহের ছাই ফোইবার জন্যই জন্ম। ভাগ্যদোষে স্ত্রী, পুত্র ও গৃহহীন হইয়াছি, সুতরাং আমার হৃদয় নাই, স্নেহ মমতা নাই, দয়া মায়া করুণা। এ সকল কোমল বৃত্তির সহিত নাকি সামাজিক নিয়ম অনুসারে আমার কোন সম্পর্ক থাকিতে পারে না, কাজেই এ সকল নাই। এ হেন যুক্তিমূলে এই আখ্যায়িকার করুণ অংশটুকু পাষাণের মত স্পন্দহীন হৃদয়ে অশ্রবঞ্চিত চক্ষে ও বাষ্পবরোধ শূন্য কণ্ঠে বলিয়া যাইতে হইবে। যাহারা ংসারে এক কথায় ‘পরভাগ্যোপজীবী” আমার অবস্থা ঠিক তেমন ছিল না। এক সময়ে আমার সংসারে না ছিল এমন কিছু নাই। বাড়ী, ঘর, দাসদাসী স্ত্রী পুত্র কন্যা, মান ও সন্ত্রম এ সকল কিছুরই অভাব ছিল না। বিদ্যা বুদ্ধিও ছিল বলিয়া প্ৰবাদ আছে কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমার বিদ্যাবুদ্ধি বা ধনসম্পদ কোন কাজেই লাগিল না। এ দেশের ধনবানগণের বাড়ীর সম্মুখে দণ্ডায়মান আসিবন্দুকধারী সিপাহীগণের হাতিয়ার সমূহের ন্যায় এই ভাগ্যহীনের বিদ্যা বুদ্ধি বা ধন সম্পদ জীবনের আড়ম্বরপূর্ণ ভারবৃদ্ধিই করিয়াছিল, কোন কাজেই লাগে নাই। বিদ্যার চাপরাশ এখনো S(I