পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার সংবাদ আপনারা এতটুকুও পান নাই। চিন্ময়ী সে সকল কথা বলে নাই ; পতিপ্ৰাণা সতী, স্বামীর নিন্দ করিতে পারে না, তাই তাহার কাছে আমরা একদিনও সে সকল কথা শুনিতে পাই নাই। অশ্রু ও স্নান মুখচ্ছবি যতটা সংবাদ দিতে পারিয়াছে আপনার ততটাও জানিতে পারেন নাই। হা লোভ ! হা পুরুষের অবৈধ উচ্চাকাজক্ষা ! জামাইটী উচ্চশিক্ষিত না হইলেও অশিক্ষিত বলিতে পারি না । বিশেষতঃ সে ভদ্র ঘরের সন্তান। তাহার এ লোভ কেন হইল ? পূর্বে সে এত লোভী বা ভয়ানক গোছের লোক ছিলনা। যাদব বাবুর জন্য সে চিন্তা করিত, আমাদের জন্য দুঃখ করিত, চিন্ময়ীকে ভালবাসিত। চিন্ময়ীর এক একটী কন্যা প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে তাহার মনোরাজো এক একটা খুব ধ্বংসকারী ভূমিকম্পের উৎপত্তি হইয়া গিয়াছে, তাহা আঁমি খুবই লক্ষ্য করিয়া আসিয়াছি। স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করিয়া শ্বশুরের ঐশ্বর্যের সঙ্গে “ঠাকরা” দিবার উচ্চাকাজক্ষা তাহাকে কলিকাতা টানিয়া লইয়া যায়, কিন্তু সেখানে বুদ্ধির দোষে সৰ্ব্বস্বােন্ত হইয়া সে যখন পীরগঞ্জে ফিরিয়া আসিল তখন হইতেই তাহার মানসিক গতি অন্যপথে পরিচালিত হইতে আরম্ভ করিয়াছিল, অবস্থার আকস্মিক পরিবর্তন এবং কন্যাগুলির ভবিষ্যৎ “পার” করিবার আশঙ্কা তাহার উচ্চাকাঙ্ক্ষার আগুনে ইন্ধন যোগাইতেছিল, সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ হইবার দ্বারাও তখন একরূপ উদঘাটিত। পুত্ৰহীন শ্বশুরের অতুল ঐশ্বৰ্য্য ভাগ্যান্বেষী জামাতার চােখের সম্মুখে SVO)