পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्रांभांडांद्र खूनून মোহজাল বিস্তৃত করিয়াছিল। আমি বেশ লক্ষ করিয়া আসিয়াছি জামাতা তখন সেই একই নেশায় বিভোর! চিন্ময়ীর প্রতি ব্যবহারের কঠোরতা ঠিক সেইদিন হইতেই বেশ করিয়া আরম্ভ হইয়াছে, যেদিন অভাগিনী সকলের আশায় ছাই দিয়া তৃতীয় কন্যার জননী হইয়াছিল, —এবং যেদিন যাদববাবু তাহার এবং আমার অনুরোধে দ্বিতীয় বার দারগ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। যাদববাবুর দারপরিগ্রহের মূলে চিন্ময়ীকে দেখিতে পাইয়া জামাতার ক্রোধ ও জিঘাংসা যেন আরও বাড়িয়া উঠিতেছিল ; আর সেই সকল আশা ও আকাঙ্ক্ষার মূলঘাতিনী নূতন শাশুড়ীর প্রতি তাহার যে কি ভয়ঙ্কর বিদ্বেষ বহি জ্বলিয়া উঠিতেছিল তাহা আমি আর চিন্ময়ী ছাড়া সংসারে কেউ জানিতেন। চিন্ময়ী সেইজন্য স্বামীকে অনেক সাধ্য সাধনা করিয়াছে। নিরপরাধ সৎমার প্রতি বিদ্বেষ দূর করিবার প্রয়াস করিয়া সে অনেক নিৰ্য্যাতন নীরবে ভোগ করিয়ালছ। সৎশাশুড়ী অর্থাৎ নূতন গিন্নি জামাইকে যত আদর যত্ন করিতেন জামাইবাবুর মানসিক বিদ্বেষ ততই যেন লোলজিহবা বিস্তার করিয়া নিস্ফল রোষে নিজের রক্ত নিজে লেহন করিতে থাকিত । এ বিদ্বেষ এ জিঘাংসা কেন যে এত বাড়িয়া উঠিল, কিসে ইহার নিবৃত্তি হইবে সেই ভাবনা ভাবিয়া চিন্ময়ীর দেহ কালি হইতেছিল। সে একদিন ভীত হইয়া আমাকে চুপি চুপি বলিয়াছিল, “দাদা মশায়, মা যেন কারুর অযুদ্ধ বিষুব্ধ না খায়, আপনি ৰাৱন করিয়া দিবেন।” আমি তাহার অকারণ অলীক আশঙ্কায় সহসা চমকিয়া উঠিয়াছিলাম, হায় রামনি SV8