পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামাতার জুলুম তোমরা পুরুষ চরিত্রকে এতটা আয়ত্ত করিতে শিখিয়াও ইহাদেরই হাতে এমুনতর লাঞ্ছিত হও ? আর আমাদের পুরুষ ? তাহারা পরিণত বুদ্ধির অভাবে সরলতার ভাণে কুচক্ৰ জাল ভেদ করিতে না পারিয়া সংসারের বহুবিধ জঞ্জাল আপনার ঘাড়ে চাপাইয়া দিয়া চিরজীবন অনুতাপ করিয়া করিয়া কাটাইয়া দেয়। ইংরাজ রাজত্বের ফলে এদেশে দুটী মারাত্মক জিনিসের আমদানী হইয়াছে একটী নীতি, অপরটীি আইন। কথাটা একটু বেখাপ ঠেকিবে সন্দেহ মাই, তবে আমার বর্তমান ধারণা এইরূপই হইয়া গিয়াছে। আইন লইয়া যাহার কারবার করেন, তাহারা জানেন, বুদ্ধিমান লোকেরা সকল কাজেই আইনের মৰ্ম্ম অনুসরণ করিয়া চলিতে চেষ্টা করেন। যদিও সেই মৰ্ম্ম শুদ্ধ আইনের হিসাবেই অনুস্থত হয়, যথার্থ ন্যায়-ধর্মের হিসাবে নহে। তাহার প্রমান এই যে এই কয়বৎসর যাদববাবুর দরবারে আরজির বর্ণনায় প্রধান বক্তব্য বিষয় শুনিয়া আসিতেছি, “বাদীর এই দাবি তােমাদি দোষে বাধিত বটেg ! “তামাদি” ?-হঁ, আইনের মৰ্ম্ম তাই বটে - উহার মারাত্মকতা সেইখানে-যেখানে ভদ্রসন্তানকেও এই আইনের শ্রেণীর মৰ্ম্ম বা ফাকুগুলি লইয়া আস্ফালন করিতে দেখিতে পাই, অথচ সেইজন্য র্তাহাদের লজ্জা ঘৃণা বা সংকোচের ভাবটুকুও উকি দিতে সাহস পায় না। আইন-মানুষকে এমনি পথভ্ৰষ্ট করিয়া দেয়। আইনের- এমনি একটা মোহিনী শক্তি আছে যে তাহার সাহায্যে Ve@k