পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার দান মোহর গুলি তুলিয়া লইয়া তাহা দ্বারাই পিতার ষান্মাসিক শ্ৰাদ্ধ কোনওমতে সম্পন্ন করিলেন । নৃত্যকালী ভ্ৰাতৃত্যুঞ্চলের নামে সকল কথা খোলাসা জানাইয়া পত্ৰ লিখিলেন, রামগোপাল বাবুকেও লিখিলেন। মাতৃদেবীর আকস্মিক চিত্তপরিবর্তনের সঙ্গত হেতু অনুসন্ধান করিয়াও ঠাহর করিতে না পারিয়া নৃত্যকালী একটু চঞ্চল হইয়া পড়িলেন এবং ভ্ৰাতৃদ্বয়কে সঙ্গে লইয়া রামগোপাল বাবুকে সত্বর দেশে আসিবার জন্য অনুরোধ করিয়া পত্র লিখিলেন। পত্ৰ পাইয়াই রামগোপাল বাবু বুঝিলেন পণ্ডিতগৃহিণী কোন যায়গায় কিসে আঘাত লাগিয়াছে। পুত্রদ্বয় পত্রের উত্তরে দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া জানাইলেন দুই সপ্তাহ পরে ছাড়া কিছুতেই তঁহাদের দেশে ফিরা সম্ভবপর নহে। রামগোপাল বাবু দেশে ফিরিবার বন্দোবস্ত করিতেছিলেন। এদিকে বৃদ্ধার কঠোর ব্যবহারের কথাটা 'কোথাও আর গোপন রহিল না । বাড়ীর স্ত্রীলোক মহলেও কথাটা নানা আকারে প্রচারিত হইয়া উঠিল, কিন্তু সাহস করিয়া কেহ করুণ জিজ্ঞাসা করিতে পারিল না বলিয়া, কারণটা অনিশ্চয়ের ঘুর পাক খাটতে খাইতে এক এক জায়গায় এক এক রকম আকারে আত্মপ্ৰকাশ করিতে লাগিল ৷ আশ্চৰ্য্য এট যে যে যেরূপ সিদ্ধান্ত করিল, সকলেই দৃঢ়তার স্বরে জানাইয়া দিতে ভুলিল না যে এই সিদ্ধান্তই সত্য এবং বিশেষরূপে পরীক্ষিত অর্থাৎ প্রত্যক্ষদৃষ্ট, কিন্তু বুদ্ধিমতী বড় বীে কোন কথার জবাব দিলেন না বা স্বামীকেও e8