পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার দান বুঝিতে পারিলেন--আর এই সংসারটা টিকিবে না, তবে নিজেদের ভাগ্যে যেমনই হোক বৃদ্ধ শাশুড়ীকে পারের ঘাটে বসিয়া অপমান সহিতে না হয়,-চা ঠাকুর, তোমার সেবা পূজা করিয়া যদি বড়বেীর স্বামী পুত্র এতটুকুও পুণ্য করিয়া থাকেন, তবে সেই পুণ্যের ফলে এইটুকু কর দেবতা, বৃদ্ধ শাশুড়ী বঁচিয়া থাকিতে যেন এই পরিবারের শোচনীয় দুর্ঘটনা তঁহাকে স্পর্শ না করে। সংসার ভাঙ্গে ক্ষতি নাই। কিন্তু আরও কিছুদিন পবে। বড়বে অনেক কঁদিলেন, তঁহার কান্না বিশ্ববিধাতার সিংহাসন তলে পৌছিল কি না। কেহ জানিতে পারল না । মেজবীে যতবড় কুদুলেই হউন না শাশুড়ীর রুগ্ন শয্যার পাশে যাইয়া এসকল কথা শুনাইয়া দিবার মত সাহস আজও জন্মে নাই। ছোটবেী ত আরও ক’সিঁড়ি নীচে । কাজেই এদিনকার ঝগড়াটা একটু সহজেই মিটয়া গেল। বড় কর্তা বড় বীেএর অশ্রুম্মান-মুখখানি দেখিয়া বারে বারে কারণ জিজ্ঞাসা করিয়াও মূল কারণের সন্ধানে যখন সম্পূর্ণ নিরাশ হইতেছিলেন, ঠিক সেন্ট সময়ে cાક્ષરો আপনার ঘরে বসিয়া ছোট বৌ এর প্রতি দারুণ নিৰ্য্যাতনেস্তু এবং তঁাহার অর্থকষ্ট্রের নানা শ্রেণীর বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া সহরের ঠিকানায় দেবরের নামে পত্ৰ পাঠাইতেছিলেন। সেই পত্রের উপসংহারে চতুরা মেজবীে দেবরকে অনেক কাকুতি করিয়া লিখিয়া জানাইলেন যে “ওগো বিদেশের বাবু আমার প্রাণে অনেক সহে,-আমার বুকে অনেক বহে, আমার জন্য ভেবেন। २७