পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6दऊ • 1S সুরে ঝঙ্কার তুলিয়া বলিলেন “ওর ভেতর মেয়ে মানুষকে এনে জড়ােচ্ছ কেন ঠাকুরপো ? বুদ্ধি কি পুরুষের নেই যে ওঁরা খালি মেয়েদের কথা মতই চলবে ? দিদির যদি ওর ভেতর কিছু স্বাৰ্থ থাকে,- অবশ্য অগোচরে গুরুজনের উপর মিথ্যা কথা বলিনা, কার মনে কি আছে জানিও না, কথায় বলে “পর চিত্ত ঘোর অন্ধকারী”-থাকতবে সেই স্বাৰ্থ বড় জোর তেল নুনটুকু বা অন্ততঃ সেমিজ শাড়ীটুকুর সীমা ছাড়িয়ে যায় নি, -একথা সত্য। তবে তোমাদের কথা, গুরুজন, শত শত দণ্ডবৎ পাপ মুখে কি বলতে কি বলি, কাজ নেই!”-মেজবীে একটু হাসিয়া এবার মেজবাবুকেও কৃতাৰ্গ করিলেন - “ভুল বুঝলে মেজবৌদি !-বড় বৌদিকে চিনতে তোমাদেব আরও ঢের দিন লাগবে -এক কথায় তোমায় বলে দিচ্ছি। বাবার উইল টুইল যত কিছু কাণ্ড, শুধু এই একটী মানুষের মগজ থেকে বের হয়েছে! যাক এ সকল কথা। আপাততঃ মেজদার ভাল লাগবে না-ৰ্তারও একদিন চোখ ফুটুবে!” মেজবীে কহিলেন থাকুলেত ফুটবে?”-মেজবীে কথাটার সঙ্গে সঙ্গেই-হাসির প্রলেপে ক্ষতটার প্ৰতিকারের ব্যবস্থা করিয়া দিয়া ছোটবেীকে লক্ষ্য করিয়া কহিলেন “দেখে আয়ত ছোট, তোর সুকুর গাটা হাত দিয়ে গরম হলো কি না, মেয়েটা আজকে খালি হাচিছিল, সর্দির মত করেছে” ! ছোটবেী নিদ্রিত কন্যার গায়ে হাত বুলাইয়া জ্বরের কোন লক্ষণ খুজিয়া পাইলেন না, কিন্তু মেজদি যখন হাঁচিবার কথা বলিয়াছেন, 88