পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার দান বৃদ্ধ একটু দাম লইয়া কহিলেন, “কেষ্টদা আজ একবার ঠাকুরদের বেশ করে সাজাও দেখি ভাই ?”-কৃষ্ণকালী উঠিয়া গেল ! বুদ্ধ সেইখানেই থাকিবার অভিপ্ৰায় করিলেন দেখিয়া উপরে একটা YYBDB gB KDD DDDSS DBDBuKS SDBBB DBBDE DBEL একটা চতুৰ্ম্ম খযোগের বন্দোবস্ত করিতে লাগিয়া গেলেন। সন্ধ্যা চইয়াছে দেখিয়া প্রতিবেশীগণ মাটিতে লুটাইয়া মাটির ধূলা মাথায় মাখিয়া বৃদ্ধার জন্য আক্ষেপ করিতে করিতে কিয়াৎকালের জন্য আপন আপন গহে চলিয়া গেল । সূৰ্য্যান্তের সঙ্গে সঙ্গেই ঠাকুরের আরতির কাসর ঘণ্ঠ বাজিয়া উঠিল, দেখিতে দেখিতে গ্রামের সকল স্ত্রী পুরুষ-ঠাকুরের আঙ্গিনায় আসিয়া জড় হইল, আজ তাহারা ঠিক আরতি দেখিতে আসিয়াছে কি না সেই কথা বলা কঠিন। শ্ৰীমন্তপুরের আবাল বৃদ্ধ শিরোমণি গৃহিণীকে দেবতার মত ভক্তি করিত, মাতার মত ভালবাসিত, আর গুরুর মত শ্রদ্ধা সহকারে আদেশ পালন করিত। সেই দেবী আজি ইহ-সংসার ত্যাগ করিয়া যাইতেছেন-এজীবনে আর এমনটী কেহ কথন দেখিবে না, এমন মধুমাখা সম্ভাষণ কেহ কখন শুনিবে না, এবং এমন অকৃত্রিম মেহমমতা কেহ কখন পাইবে না, তাই আজি দেবতার আরতির সঙ্গে সঙ্গে এই মর্ত্য দেবতার শেষ অ্যারিতি চরণবাদন ও চরম দর্শনের জন্য সারা শ্ৰীমন্তপুর ঘরে সন্ধ্যার প্রদীপ জালিয়া রাখিয়া শিরোমণি মহাশয়ের বাড়ীতে আসিয়া সমবেত হইয়াছে । ( )