পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(क्वड =ि কণ্ঠে নৃত্যকালী চীৎকার করিয়া কহিলেন, “কেষ্ট, কেষ্ট, আমিও পারবো বাবা, মারি টাকা নাইবা হলো, বিন্ধ্যের বিয়ে হলেইত মা’র আদেশ পালন করা হবে ! জয়, রাম, নাও উইল ছিড়ে ফেল, গোপালদা, টাকাগুলি ওদের দিয়ে দাও!-গহনার টাকায় ঠাকুর ঘরের ভিটা বঁধাতে হয় বঁাধিও, আমি ওর এক পয়সাও খাবো ন”- রামগোপাল বাবু নীরবে অশ্রত্যাগ করিতেছিলেন-কৃষ্ণকালী কহিল “আমি তিন মাস পরেই নবদ্বীপ যাচ্ছি, আমি চার বৎসরে পড়া শেষ করে আসবাে, তিন মাস পরে বাবাও ঠাকুর পূজা করতে পারবেন। কোন ভাবনা থাকবেনা জোঠা, আমি কিছু চাইনে জ্যেঠাচাই শুধু দেবতার দয়া !” বড়বেী ফোপাইয়া কঁাদিতেছিলেন আর সন্তানের গৌরবে শিহরিয়া উঠিতে ছিলেন। জয়কালী বাবু এতক্ষণ অবাক হইয়া কৃষ্ণকালীর মুখের দিকে তাকাইয়া ছিলেন, আর অন্তরের উচ্ছাসে এক একবার অধীর হইয়া উঠিতেছিলেন, রামবাবু ভাবিতেছিলেন “এইবার চাদ !” সহসা সকলে বিস্মিত হইয়া দেখিল—ছোটবে। অন্দর স্টুতে ছুটয়া আসিয়া বাড়বেী'র দুটি পা জড়াইয়া ধরিয়া অজস্র অশ্রুজলে পা ভাসাইয়া দিতেছেন। জয়বাবুরাও ধৈৰ্য্যের বাধ ভাঙ্গিয়া গেল, তিনি কৃষ্ণকালীকে বুকে জড়াইয়া ধরিয়া কম্পিত কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন,- “গোপালদা জীবনে কখনো জনকজননীর আশীৰ্ব্বাদ বা দেবতার দয়া অর্জন করতে পাইনি, আজ বংশের তিলক কেষ্টকে পেয়ে যথার্থ করেই লাভ করলুম-তাদের মুক্তিমান আশীৰ্ব্বাদ,আর দেবতার দয়া !” Գ8