পারিনে—তুমি খেয়ে আসবে চল।
আমি কি এখন যেতে পারি?
তবে কি এইখানেই থাকবে?
এইখানে থাকব, তারপর চলে যাব—
পার্ব্বতরর মনটা খারাপ হইয়া গেল। দেবদাসের আপাত-বৈরাগ্য দেখিয়া এবং কথাবার্তা শুনিয়া তাহার চোখে জল আসিতেছিল,—কহিল, দেবদা, আমিও যাব-
কোথায়? আমার সঙ্গে? দূর—তা কি হয়?
পার্ব্বতী মাথা নাড়িয়া কহিল, যাবই—
না,—যেতে হবে না—তুই আগে জল নিয়ে আয়—
পার্ব্বতী আবার মাথা নাড়িয়া বলিল, আমি যাবই—
আগে জল নিয়ে আয়—
আমি যাব না—তুমি তা হলে পালিয়ে যাবে।
না—যাব না।
কিন্তু পার্ব্বতী কথাটা বিশ্বাস করিতে পারিল না, তাই বসিয়া রহিল। দেবদাস পুনরায় হুকুম করিল, যা বলচি।
আমি যেতে পারব না।
রাগ করিয়া দেবদাস পার্ব্বতীর চুল ধরিয়া টান দিয়া ধমক দিল—যা বলচি।
পার্ব্বতী চুপ করিয়া রহিল। তারপর তাহার পিঠে একটা কিল পড়িল—যাবিনে?
পার্ব্বতী কাঁদিয়া ফেলিল—আমি কিছুতেই যাব না।
দেবদাস একদিকে চলিয়া গেল। পার্ব্বতীও কাঁদিতে কাঁদিতে একেবারে দেবদাসের পিতার সুমুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। মুখুয্যেমশাই পার্ব্বতীকে বড় ভালবাসিতেন। বলিলেন, পারু, কাঁদচিস কেন মা?
দেবদা মেরেচে।
কোথায় সে?
ঐ বাঁশবাগানে বসে তামাক খাচ্ছিল।
একে পণ্ডিত মহাশয়ের আগমন হইতেই তিনি চটিয়া বসিয়া ছিলেন—এখন