বাহিয়া নীচে নামিয়া গেল।
সিঁড়ির পথেই চুনিলালের সহিত দেখা হইল। সে আশ্চর্য হইয়া প্রশ্ন করিল, কোথায় যাচ্চ দেবদাস?
বাসায় যাচ্চি।
সে কি হে?
দেবদাস আরও দুই-তিনটি সিঁড়ি নামিয়া পড়িল।
চুনিলাল কহিল, চল, আমিও যাই।
দেবদাস কাছে আসিয়া তাহার হাত ধরিয়া বলিল, চল।
একটু দাঁড়াও, একবার উপর থেকে আসি।
না, আমি যাই, তুমি পরে এসো; বলিয়া দেবদাস চলিয়া গেল।
চুনিলাল উপরে আসিয়া দেখিল, চন্দ্রমুখী তখনও সেইভাবে চৌকাঠ ধরিয়া দাঁড়াইয়া আছে।
তাহাকে দেখিয়া কহিল, বন্ধু চলে গেল?
হ্যাঁ।
চন্দ্রমুখী হাতের নোট দেখাইয়া কহিল, এই দেখ। কিন্তু ভাল বোধ কর তো নিয়ে যাও; তোমার বন্ধুকে ফিরিয়ে দিয়ো।
চুনিলাল কহিল, সে ইচ্ছে করে দিয়ে গেছে, আমি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো কেন?
এতক্ষণ পরে চন্দ্রমুখী একটুখানি হাসিতে পারিল; কিন্তু হাসিতে আনন্দ ছিল না। কহিল, ইচ্ছে করে নয়, আমরা টাকা নিই বলে রাগ করে দিয়ে গেছে। হাঁ, চুনিবাবু, লোকটা কি পাগল?
একটুও না। তবে আজ কদিন থেকে বোধ করি ওর মন ভালো নেই।
কেন মন ভালো নেই—কিছু জানো?
তা জানিনে। বোধ হয় বাড়িতে কিছু হয়ে থাকবে।
তবে এখানে আনলে কেন?
আমি আনতে চাইনি, সে নিজে জোর করে এসেছিল।
চন্দ্রমুখী এবার যথার্থই বিস্মিত হইল। কহিল, জোর করে নিজে এসেছিল? সমস্ত জেনে?
চুনিলাল একটুখানি ভাবিয়া কহিল, তা বৈ কি! সমস্তই ত জানত। আমি