ব্র। কোন মতেই না।
প্র। এ ছিপে কোম্পানীর সিপাহী আছে। এ বন্দুক ডাঙ্গা হইতে কোম্পানীর সিপাহী আওয়াজ করিল।
ব্র। কেন এত সিপাহী এ দিকে আসিতেছে? তোমাকে ধরিবার জন্য?
প্রফুল্ল চুপ করিয়া রহিল। ব্রজেশ্বর জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার কথায় বোধ হইতেছে, তুমি পূর্ব্ব হইতে এই সংবাদ জানিতে।”
প্র। জানিতাম—আমার চর সর্ব্বত্র আছে।
ব্র। এ ঘাটে আসিয়া জানিয়াছ, না আগে জানিয়াছ?
প্র। আগে জানিয়াছিলাম।
ব্র। তবে, জানিয়া শুনিয়া এখানে আসিলে কেন?
প্র। তোমাকে আর একবার দেখিব বলিয়া।
ব্র। তোমার লোক জন কোথায়?
প্র। বিদায় দিয়াছি। তারা কেন আমার জন্য মরিবে?
ব্র। নিশ্চিত ধরা দিবে, স্থির করিয়াছ?
প্র। আর বাঁচিয়া কি হইবে? তোমার দেখা পাইলাম, তোমাকে মনের কথা বলিলাম, তুমি আমায় ভালবাস, তাহা শুনিলাম। আমার যে কিছু ধন ছিল, তাহাও বিলাইয়া শেষ করিয়াছি। আর এখন বাঁচিয়া কোন্ কাজ করিব বা কোন্ সাধ মিটাইব? আর বাঁচিব কেন?
ব্র। বাঁচিয়া, আমার ঘরে গিয়া, আমার ঘর করিবে।
প্র। সত্য বলিতেছ?
ব্র। তুমি আমার কাছে শপথ করিয়াছ, আমিও তোমার কাছে শপথ করিতেছি। আজ যদি তুমি প্রাণ রাখ, আমি তোমাকে আমার ঘরণী গৃহিণী করিব।
প্র। আমার শ্বশুর কি বলিবেন?
ব্র। আমার বাপের সঙ্গে আমি বোঝাপড়া কবিব।
প্র। হায়! এ কথা কাল শুনি নাই কেন?
ব্র। কাল শুনিলে কি হইত?
প্র। তাহা হইলে কার সাধ্য আজ আমায় ধরে?
ব্র। এখন?