পাতা:দেবী চৌধুরানী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ... o, . ." . দেবী *、 * , , . . . " ভাল যা, তাই বলিব। ধনের ভোগ তোমার হইতে পারে ག -༩ཁ་ཤ না, তোমার কেহ নাই । তবে এই ধনের দ্বার, বিস্তর পাপ, অথবা বিস্তর পুণ্য সঞ্চয় করিতে পার। কোন পথে যাইতে চাও ! - প্র। যদি বলি, পাপই করিব ? ব্রা। আমি তাহা হইলে, লোক দিয়া, তোমার ধন তোমার সঙ্গে দিয়া তোমাকে । এ বনের বাহির করিয়া দিব। এ বনে আমার অনুচর এমন অনেক আছে যে, তোমার এই ধনের লোভে, তোমার সঙ্গে পাপাচরণ করিতে সম্মত হইবে। অতএব তোমার সে মতি হইলে, আমি তোমাকে এই দণ্ডে এখান হইতে বিদায় করিতে বাধ্য। এ বন আমারই। - প্র। লোক দিয়া আমার ধন আমার সঙ্গে পাঠাইয়া দেন, তবে সে আমার পক্ষে ক্ষতি কি ? i ভ। রাখিতে পারিবে কি ? তোমার রূপ আছে, যৌবন আছে, যদিও ডাকাইতের হাতে উদ্ধার পাও—কিন্তু রূপ যৌবনের হাতে উদ্ধার পাইবে না। পাপের লালসা না ফুরাইতে ফুরাইতে ধন ফুরাইবে। যতই কেন ধন থাক না, শেষ করিলে শেষ হইতে বিস্তর দিন লাগে না। তার পর, মা ? প্র । তার পর কি ? ভ। নরকের পথ সাফ। লালসা আছে, কিন্তু লালসাপরিতৃপ্তির উপায় নাই—সেই নরকের পরিষ্কার পথ। পুণ্য সঞ্চয় করিবে ? প্র । বাবা! আমি গৃহস্থের মেয়ে, কখনও পাপ জানি না। আমি কেন পাপের পথে যাইব ? আমি বড় কাঙ্গাল—আমার অন্নবস্ত্র যুটিলেই ঢের, আমি ধন চাই না—দিনপাত হইলেই হইল। এ ধন তুমি সব নাও—আমি নিম্পাপে যাতে এক মুটো অন্ন পাই, তাই ব্যবস্থা করিয়া দাও। - ভবানী মনে মনে প্রফুল্পকে ধন্যবাদ করিল। প্রকাশ্বে বলিল, “ধন তোমার। আমি লইব না।” - - প্রফুল্ল বিস্মিত হইল। মনের ভাব বুঝিয়া ভবানী বলিল, “তুমি ভাবিতেছ, ডাকাইতি করে, পরের ধন কাড়িয়া খায়, আবার এ রকম ভাণ করে কেন ? সে কথা তোমায় এখন বলিবার প্রয়োজন নাই। তবে তুমি যদি পাপাচরণে প্রবৃত্ত হও, তবে তোমার এ ধন লুঠ করিয়া লইলেও লইতে পারি। এখন এ ধন লইব না। তোমাকে আবার জিজ্ঞাসা করিতেছি —এ ধন লইয়া তুমি কি করিবে ?” دهد.