পাতা:দেবী রাবিয়া - রাহাতুন্নেছা খাতুন.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৬ )

সাহেবের লিখিবার ক্ষমতা আছে। আমরা আশা করি তিনি এই একখানি পুস্তক লিখিয়াই ক্ষান্ত থাকিবেন না।

 চারুমিহির বলেন—গ্রন্থখানির ভাষা সুপাঠ্য। একজন আরবী পারসী পণ্ডিত মুসলমান এমন সুন্দর বাঙ্গালা লিখিতে পারেন ইহা আহ্লাদের বিষয়। হিন্দু হইলেও পুস্তকখানি পড়িয়া আনন্দ অনুভব করিয়াছি।

 রঙ্গপুর দিক্‌ প্রকাশ বলেন—এতৎপাঠে হিন্দু মুসলমান উভয় জাতিরই আরবের অন্তর্ভুক্ত “মক্কা-শরীফের” অতি প্রাচীন বিবরণ সম্বন্ধে বিস্তর জ্ঞান ও ব্যুৎপত্তি জন্মিবে সন্দেহ নাই। গ্রন্থখানির ভাষা সুললিত, মিষ্ট এবং বিশুদ্ধ হইয়াছে।

 মোস্‌লেম সুহৃদ বলেন—পবিত্র পুণ্যধাম মক্কা-শরীফের আদ্যোপান্ত ইতিহাস জানিয়া রাখা মুসলমান মাত্রেরই কর্ত্তব্য। তজ্জন্য আমরা প্রত্যেক মুসলমানকে এই গ্রন্থখানি পাঠ করিতে অনুরোধ করি। পুস্তকখানিতে মক্কা-শরীফের সমস্ত বিবরণই অতি সুন্দরভাবে বর্ণিত হইয়াছে, এবং অতি প্রাঞ্জল ভাষায় চারিটি অধ্যায়ে উহা সমাপ্ত করা হইয়াছে। আমাদের ভাগ্যে তাহা দেখিবার উপায় নাই। চক্ষে না দেখিলেও গ্রন্থকারের বর্ত্তমান গ্রন্থে আমরা তাহার অনেক তথ্য জানিতে পারিলাম।

 সোলতান বলেন—গ্রন্থখানির ছাপা ও ভাষা সমস্তই সুন্দর। ইহাতে অনেক জ্ঞাতব্য তথ্য লিখিত হইয়াছে। আমরা এ গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করি।

 উপাসনা বলেন—মক্কা-নগরী পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম্ম প্রণালির অনুবর্ত্তিগণের প্রধান প্রধান তীর্থ স্থানের অন্যতম। এরূপ একটি মহাতীর্থের ইতিহাস জানিবার জন্য আগ্রহ জ্ঞানার্জ্জনার্থী মাত্রেরই পক্ষে