পাতা:দেবী রাবিয়া - রাহাতুন্নেছা খাতুন.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ১৪ )

 প্রবাসী বলেন—ইস্‌লাম-চিত্রে দুইটি কবিতা ও একটি প্রবন্ধ এবং সমাজ-চিত্রে নয়টি প্রবন্ধ সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। “উথান-গীতি” শীর্ষক কবিতাটি ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ মোস্‌লেম ভ্রাতৃগণের হৃদয়ে জাতীয়ভাব সঞ্চারিত করিবার উদ্দেশ্যে রচিত। কবিতাটির সর্ব্বত্রই একটা উদ্দীপনার ভাব পরিস্ফুট। সমাজ-চিত্রের অন্তর্ভুক্তগুলির আদর্শ জাতি ধর্ম্ম ভেদে সকলেই গ্রহণ করিতে পারেন।

 মোস্‌লেম সুহৃদ বলেন—কয়েকটি পদ্য ও গদ্য প্রবন্ধ দিয়া গ্রন্থখানি সমাপ্ত করা হইয়াছে। গদ্য প্রবন্ধ কয়টি সুন্দর হইয়াছে। বঙ্গীয় অধঃপতিত মুসলমান সমাজকে জাগ্রত করিবার জন্য এরূপ গ্রন্থ যত প্রচার হয় ততই মঙ্গল। গ্রন্থকারের লিখিবার ক্ষমতা আছে। আমরা ইস্‌লাম-চিত্র পাঠ করিয়া বাস্তবিকই সুখী হইয়াছি।

 আরতী বলেন—এই ক্ষুদ্র পুস্তকখানি পড়িয়া আমরা প্রীতিলাভ করিয়াছি। গ্রন্থের বিষয়গুলি সময়োপযোগী।

 মৌলভী সাহেব একজন ধর্ম্মপ্রাণ মুসলমান। তিনি ধর্ম্ম সম্বন্ধে গ্রন্থ লিখিয়াছেন। কিন্তু তাই বলিয়া ধর্ম্মের “গোরামী” নাই। তিনি উন্নতিশীল দলের লোক।

 বাসনা বলেন—সমাজ সংস্কার সম্বন্ধীয় গুটীকত গদ্য-পদ্য সন্দর্ভ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রবন্ধগুলিতে বেশ চিন্তাশীলতা, আন্তরিকতা আছে।

 মুরাদনগর হাইস্কুলের হেড্‌ মাষ্টার—

 শ্রীযুক্ত বাবু কৈলাসচন্দ্র চক্রবর্ত্তী বি. এ. মহাশয় লিখিয়াছেন,—

 “ইস্‌লাম-চিত্র” পাঠে নিরতিশয় প্রীতিলাভ করিলাম। পুস্তকখানা সময়োপযোগী ও হৃদয় গ্রাহী, সন্দেহ নাই।