পাতা:দেবী রাবিয়া - রাহাতুন্নেছা খাতুন.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।

আকাশ যাহার চন্দ্রাতপ, কিছুর প্রয়োজন হইলে তাহারই নিকট প্রার্থনা করিয়া লইব।” আর এক বার এক ধনী ব্যক্তি এক থলি স্বর্ণ মুদ্রা দিতে আসিয়া দেবীর কঠোর আত্মসংযমের নিকট শঙ্কিত হইয়া ফিরিয়া যাইতে বাধ্য হয়।

 ঈশ্বর-প্রেমের আনন্দ-তরঙ্গে যখন। হৃদয় ভাসাইয়া দেয়, তখন মানবের আর আপন পর ভেদাভেদ জ্ঞান থাকেনা, পাপ, পুণ্যের আন্দোলনে হৃদয় অভিভূত হয় না। তখন সমগ্র পৃথিবীময় একমাত্র স্রষ্টার অনন্ত সত্ত্বা অনুভব করিয়া মানব অনন্ত প্রেম-সাগরে ভাসিয়া বেড়ায়। মানুষের এই ভাব অতিশয় উচ্চভাব,—মহাজন সাধ্য তীব্র সাধনারও অতীত ব্যাপার। দেবী রাবিয়া মানব-জীবনের এই সমুন্নত দুর্লভ অবস্থায় উপনীত হইতে পারিয়াছিলেন।

৮২