পাতা:ধর্মমঙ্গল - রূপরাম.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মঠাকুরের স্বরূপ اAA • (৩) বৈদিক বরুণদেবতা। ইনি পুত্রবর-প্রদানকারী এবং পশু- ও নর-বলিপ্রিয়। ঐতরেয়-ব্ৰাহ্মণে যে রোহিত-শুনাশেফ কাহিনী আছে তাহারই অর্বাচীন সংস্করণ পাইতেছি। ধৰ্ম্মমঙ্গলের লুইচন্দ্ৰ পালায়। বেদে হরিশ্চন্দ্রের পুত্র রোহিত, ধৰ্ম্মমঙ্গলে হরিশ্চন্দ্রের পুত্র লোহিত (অর্থাৎ রোহিত)-চন্দ্ৰ। 'ঘরভরা’ (অর্থাৎ পুত্ৰলাভ ) গাজন ইহারই গ্ৰীতিকল্পে পুত্ৰেষ্টি যজ্ঞ । গাজনে যে ছাগ বলি দেওয়া হয় তাহা বিরুণেরই উদ্দেশে। বলিও দেওয়া হইত বৈদিক প্রথামত । বলির পূর্বে পশুবন্ধন স্তম্ভের ও বরুণপাশের পূজা হয়।” (৪) ডোম চাঁড়াল প্ৰভৃতি যোদ্ধা জাতির রণদেবতা। ইহার নৈবেদ্য KS DDS BBBS S BDBBD SDBD S KBDB LDDDD ধৰ্ম্মঠাকুরকে of করানো হইয়া থাকে। গুড়পিঠা তো দিতেই হয়। হাঁস, ছাগ ও শূকর বলি হইয়া থাকে। বিভিন্ন স্থানে ধৰ্ম্মঠাকুরের যে নাম পাওয়া যায় তাহা হইতেও বোঝা যায় যে ইনি রণদেবতা ছিলেন। যেমন-যাত্রাসিদ্ধি, ফতেসিংহ, দলুরায়, বাঁকুড়ারায় ইত্যাদি। ধৰ্ম্মঠাকুরের আসল পূজারী হইতেছে ডোম, চাঁড়াল, ধোপা, বারুই, শুড়ি প্রভৃতি ব্ৰাহ্মণেতর জাতি। ধৰ্ম্মঠাকুরের এই আদিম রূপকে লক্ষ্য SqSqSALS MeSASAMqSqSASASASqS SSASMMTSqS করিয়াই বৃন্দাবনদাস পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষে পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক অবস্থার বর্ণনা প্রসঙ্গে বলিয়াছেন, মদ্য মাংস দিয়া কেহ যক্ষ-পূজা করে। (৫) অনাৰ্য্য দেবতা যিনি কৃচ্ছসাধনে, দৈহিক নিৰ্য্যাতনে-শালে ভর দিলে -পরিতুষ্ট হন। স্বহস্তে শিরশেদ করিলে ( “হাকন্দ্র সেবন” করিলে) ইহার পূর্ণ পরিতৃপ্তি। (৬) অনাৰ্য্য শিলাদেবতা। শালগ্রাম পূজা ইহারই প্রকারভেদ। শালগ্রাম শিলা বৰ্ত্তল, ধৰ্ম্মশিলা ত্রিকোণ বা চতুষ্কোণ (অর্থাৎ মােটামুটি কচ্ছপ আকার) । (৭) সন্ন্যাসী অথবা ফকীর মূৰ্ত্তিধারী দেবতা। ইনি শনিবারে ঠিক দুপুর বেলা ভক্তগণকে অনুগ্ৰহ করিয়া দেখা দিয়া থাকেন। রূপরাম চক্ৰবৰ্ত্তী লিখিয়াছেন, একে শনিবার তায় ঠিক দুপুর বেলা, সম্মুখে দাণ্ডাইল ধৰ্ম্ম গলে চন্দ্ৰমালা। গলায় চাপার মালা আসা-বাড়ি হাথে ব্ৰাহ্মণের রূপে ধৰ্ম্ম দাণ্ডাইল পথে । ১ । ধৰ্ম্মপূজাবিধান পৃ ১৭• দ্রষ্টব্য।