পাতা:ধর্মমঙ্গল - রূপরাম.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাউসেন-জন্ম পালা এভাত হৈলে নিশা পুত্ৰ নাকি হব। কল্যাণী মানিকী বলে কি বুদ্ধি করিব ৷ কৰ্ম্মসিদ্ধি নাঞী হয় উপলক্ষ বিনে । মিছা দুঃখ পাইল গিয়া চাপাই ভুবনে ৷ ব্যথা পাইয়া কান্দে রামা হইয়া আকুল । আছিল লভোর আশা হারাইল মূল ! এত শুনি কল্যাণী মানিকী কিছু কয় । শুন ঠাকুরাণী সত্য বলিল নিৰ্ভয় ॥ ঘুমে হয় কাতর এসব হইল ভাটি। পানের বোটা ছিড়ে স্বামীর কানে দে ও কাটি | পরিহাস বচন বলিল দুই দাসী । ধৰ্ম্মরাজ মনে করে রঞ্জা ত রূপসী ॥ বুড়া স্বামী কোলে করি ধৰ্ম্ম মনে করে। দ্বিজ রূপরাম গান বাঁকুড়া রায্যের বরে { একমনে শুন সম্ভে ধৰ্ম্ম-ইতিহাস । দুই মন করিলে হয় ধন পুত্ৰ নাশ | বাসঘরে সুন্দরী চিস্তেন নিরঞ্জন । এবার উদ্ধার কর ময়না ভুবন ৷ তোমার বচন মিথ্যা নাই কোন কালে । আপনি দিয়াছ বর চাপাই নদী কূলে { মনে ধৰ্ম্ম স্মরণ কৰিবল তিনি বার । হেন বেলা বৈকুণ্ঠে জানিল কবিতার। অন্তরযামিনী ধৰ্ম্ম জানিল তখন । রঞ্জাবতীর বাসঘরে পাঠাল মদন ৷ আগে আসে বসন্ত মদন পাছ আন । ময়না নগরে গিয়া হৈল অধিষ্ঠান ৷ কঁাচ হল্য কাঞ্চন কাঞ্চন হল্য র্কাচ । বসন্তের বাতাসে বহিষ্কর গর্ভ গাছ { o S কোকিলের শব্দ শুনি ভ্ৰমর ঝঙ্কারে । ময়না আকুল হৈল নানা অবতারে। জর হৈল যুবক যুবক হৈল আল। মন্দ মন্দ সদাগতি লোকে বলে ভাল ৷ আপুনি মদন গিয়া বাসঘর পায়। দুরন্ত বাতাস লাগে বুড়া রাজার গায় { নিদ্রাভঙ্গ বুডা, রাজা উঠিল তখন । যোল বৎসরের যেন হৈল মদন ॥ হেন বোলা রঞ্জাবতী পশ্চাৎ হইল । কর্ণসেন বুড়া রাজা বসন ধরিল ! বিনয় বচন বলে টানাটানি করে। আমার সমুখে বৈস পালঙ্ক উপরে। ঘব বাড়ী তোমার যতেক মালমাৰ্ত্ত । যুবতী সহিত বুড়া যোডে নানা কথা। শঙ্খ আছে সুন্দর উপৰে কেন টেড়ি । বাজুবন্দ গন্ডাতে ভাণ্ডারে নাঞী। কড়ি ৷ পঞ্চাশ মোহর রানী হাথে হাথে নেও । পানিগুয্যা সাজিযা আপনি হাথে দেও } এত বলি হাথে ধরি কাছে বসাইল । গন্ধযুকূল পায়্যা যেন ভ্ৰমর মাতিল ৷ মুখে মুখে যুগলে যুগলে দুইজন । রতিসুখ বিলাস করিল একমান ৷ কালীঘামে ছারখার সীথার সিন্দুর। কানের নিকটে বাজে পায়েব নৃপুর। মরমে পাইল ব্যথা রাণী রঞ্জাবতী । অনুচিত বিরলে বঞ্চেন সুখে রতি ৷ পারি নাঞী রঞ্জাবতী বলে তিন বার । কঁাচলি হইল দূর ছিড়ে গেল হার ॥