এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
ধূলিরাশি।
চকিত অন্তরে শুনি, উঠিনু তখনি,
নামিলাম ত্বরা করি ত্যজিয়া ভূধর।
নাহি জনরব, ঘোর গভীর রজনী,
অদূরে পর্ব্বত হ’তে ঝরিছে নিঝর॥
ছুটিলাম আমি সেই নির্ঝরের তীরে,
হেরিলাম যাহা, আঁখি না পারে বর্ণিতে।
দাঁড়ায়ে রহিনু রাখি, স্তম্ভিত অন্তরে,
কম্পিত, শীতল হাত কল্পনার হাতে॥
চৌদিকে ফুটিয়া আছে বনপুষ্পচয়,
সম্মুখ প্রদেশে বহে স্বচ্ছ নির্ঝরিণী।
মনোহর দেবীমূর্ত্তি নিশীথ সময়,
বাজায় মধুররে মোহিয়া ধরণী।
এলা’য়ে পড়েছে ঘন অসিত কুন্তল,
অলস ভাবেতে বসি’ বীণা ল’য়ে করে।
বহিতেছে অশ্রুধারা বহিয়া কপোল,
বিধাদের মূর্ত্তি যেন গঠিত প্রস্তরে॥