পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাইসষের ক্ষেত সকালে উক্তজবল হল—দপরে বিবণ হয়ে গেল তারি পাশে নদী; নদী, তুমি কোন কথা কও ? আশথের ডালপালা তোমার বকের পরে পড়েছে যে, জামের ছায়ায় তুমি নীল হলে, আরো দরে চলে যাই সেই শবদ পিছে-পিছে আসে : নদী না কি ? নদী, তুমি কোন কথা কও ? তুমি যেন ছোট মেয়ে—আমার সে ছোট মেয়ে : যত দরে যাই আমি-—হামাগুড়ি দিয়ে তুমি পিছে-পিছে আস, তোমার ঢেউয়ের শব্দ শুনি আমি : আমারি নিজের শিশু সারাদিন নিজ মনে কথা কয় (যেন) । কথা কয়—কথা কয়—কালত হয় নাকো এই নদী একপাল মাছরাঙা নদীর বদকের রামধন বকের ডানার সারি শাদা-পদ্ম—নিসত্ৰবধ পদ্মের দ্বীপ নদীর ভিতরে মানুষেরা সেই সব দেখে নাই। কখন আমের বনে চলে গেছি এইখানে কোকিলের ভালোবাসা কোকিলের সাথে, এখানে হাওয়ায় যেন ভালোবাসা বীজ হয়ে আছে, নদীর নতুন শব্দ এইখানে : কার যেন ভালোবাসা পষে রাখে বলকে সোনালি প্রেমের গলপ সারাদিন পাড়ে সারাদিন পাখি তাহা শোনে ; তব শোনে সারাদিন ? পাখিরা তাদের গানে এই শব্দ তব পৃথিবীর ক্ষেতে মাঠে ছড়াতে পারে না, নদীর নিজের সরে এ যে } Տ O Տ