পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতায়, শুকনো ডাঁটে ভাসিছে কুয়াশা দিকে-দিকে,-চড়য়ের ভাঙা বাসা শিশিরে গিয়েছে ভিজে-পথের উপর পাখির ডিমের খোলা, ঠান্ডা—কড়কড় ! শসাফলে,—দন-একটা নষ্ট শাদ শসা,— মাকড়ের ছোড়া জাল,—শকেনো মাকড়সা লতায়—পাতায় ;– ফটফটে জ্যোৎসনারাতে পথ চেনা যায়; দেখা যায় কয়েকটা তারা হিম আকাশের গায়—ইদেব-পোচারা ঘরে যায় মাঠে-মাঠে, ক্ষদ খেয়ে ওদের পিপাসা আজো মেটে পচিশ বছর তব গেছে কবে কেটে । জেগে ওঠে হািদয়ে আবেগ— পাহাড়েব মত আই মেঘ সঙ্গে লৈয়ে আসে মাঝবাতে কিবা শেষরাতের আকাশে যখন তো৯[ারে —- মত সে পথিবী এক আজ বতে ছেড়ে দিল যারে! ছে ড়া ছোড়া শাদ। মেঘ ভয় পেযে গেছে সব চলে তরাসে ছেলের মত,--আকাশে নক্ষত্র গেছে জৰালে অনেক সময,— তাবপর তুমি এলে, মাঠের শিয়বে,-চাঁদ -- পৃথিবীতে আজ আর যা হবাব নয়, একদিন হয়েছে যা—তারপর হাতছাড়া হযে হারায়ে ফরায়ে গেছে—আজো তুমি তার সবাদ লয়ে আর একবার তব দাঁড়াযেছ এসে ! নিড়োনো হয়েছে মাঠ পথিবীর চারদিকে, শস্যের ক্ষেত চেষে-চেষে গেছে চাষা চলে : তাদের মাটির গল্প— তাদেব মাঠের গল্প সব শেষ হলে অনেক তবুও থাকে বাকি — তুমি জান—এ-পথিবী আজ জানে তা কি। ১৯