পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবার তাই নীল-আকাশের আলোর গাঢ়তা তাহারে করেছে মগধ,—অন্ধকার নক্ষত্র আবার তাহারে নিয়েছে ডেকে,—জেনেছে সে এই চঞ্চলতা জীবনের;—উড়ে-উড়ে দেখেছে সে মরণের পার এই উদ্বেলতা লয়ে নিশীথের সমদ্রের মত চমৎকার! গোধলির আলো লয়ে দাপরে সে করিয়াছে খেলা, স্বপন দিয়ে দই চোখ একা-একা রেখেছে সে ঢাকি ; আকাশে অাঁধার কেটে গিয়েছে যখন ভোর-বেলা সবাই এসেছে পথে,—আসে নাই তব সেই পাখি!— নদীর কিনারে দরে ডানা মেলে উড়েছে একাকী, ছায়ার উপরে তার নিজের পাখার ছায়া ফেলে সাজায়েছে বপনের পরে তার হাদয়ের ফাঁকি ! সায্যের আলোর পরে নক্ষত্রের মত আলো জেলে সন্ধ্যার অাঁধার দিয়ে দিন তার ফেলেছে সে মাছে অবহেলে! কেউ তারে দেখে নাই;—মানুষের পথ ছেড়ে দরে হাড়ের মতন শাখা ছায়ার মতন পাতা ল’য়ে যেইখানে পথিবীর মানুষের মর্ত ক্ষুব্ধ হয়ে কথা কয়,--আকাঙ্ক্ষার আলোড়নে চলিতেছে বয়ে হেমন্তের নদী,—ঢেউ ক্ষধিতের মত এক সরে হতাশ প্রাণের মত অন্ধকারে ফেলিছে নিঃশ্বাস,— তাহাদের মত হযে,তাহদের সাথে গেছি রয়ে; দরে পড়ে পথিবীর ধলো-মাটি-নদী-মাঠ-ঘাস,— পথিবীর সিন্ধ দরে,—আরো দরে পথিবীর মেঘের আকাশ! এখানে দেখেছি আমি জাগিয়াছ হে তুমি ক্ষমতা, সন্দের মখের চেয়ে তুমি আরো ভীষণ,-সন্দের। ঝড়ের হাওয়ার চেয়ে আরো শক্তি—আরো ভীষণতা আমারে দিয়েছে ভয়! এইখানে পাহাড়ের পর তুমি এসে বসিয়াছ,—এইখানে অশান্ত সাগর তোমারে এনেছে ডেকে ;–হে ক্ষমতা, তোমার বেদনা পাহাড়ের বনে-বনে তুলিতেছে উত্তরের ঝড় আকাশের চোখে-মুখে তুলিতেছে বিদ্যতের ফণা তোমার ফলিঙ্গ আমি, ওগো শক্তি—উল্লাসের মতন যন্ত্রণা! Հ>