পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার সকল ইচ্ছা প্রার্থনার ভাষার মতন প্রেমিকের হৃদয়ের গানের মতন কে’পে উঠে তোমারে প্রাণের কাছে একদিন পেয়েছে কখন ! সন্ধ্যার আলোর মত পশ্চিম মেঘের বদকে ফটে, অাঁধার রাতের মত তারার আলোর দিকে ছাটে, সিন্ধর ঢেউয়ের মত ঝড়ের হাওয়ার কোলে জেগে সব আকাংক্ষার বাঁধ একবার গেছে তার টাটে ! বিদ্যতের পিছে-পিছে ছুটে গেছি বিদ্যতের বেগে ! নক্ষত্রের মত আমি আকাশের নক্ষত্রের বকে গেছি লেগে ! যে-মহন্ত চলে গেছে—জীবনের যেই দিনগুলি ফরায়ে গিয়েছে সব,—একবার আসে তারা ফিরে; তোমার পায়ের চাপে তাদের করেছ তুমি ধালি ! তোমার আঘাত দিয়ে তাদের গিয়েছ তুমি ছিড়ে ! হে ক্ষমতা-মনের ব্যথার মত তাদেব শরীরে নিমেষে-নিমেষে তুমি কতবার উঠেছিলে জে.গ! তারা সব ছলে গেছে —ভূতুড়ে পাতাব মত ভিড়ে উত্তর-হাওয়ার মত তুমি আজো রহিয়াছ লেগে! যে-সময় চলে গেছে তা-ও কাঁপে ক্ষমতার সময়ে—আবেগে ! তুমি কাজ করে যাও, ওগো শক্তি, তোমাব মতন! আমাবে তোমার হাতে একাকী দিযেছি আমি ছেড়ে ; বেদনা-উল্লাসে তাই সমুদ্রের মত ভবে মন!— তাই কৌতুহল—তাই ক্ষুধা এসে হৃদয়েরে ঘেরে,— জোনাকিব পথ ধরে তাই আকাশের নক্ষত্রেরে দেখিতে চেয়েছি আমি,--নিরাশার কোলে বসে একা চেয়েছি আশারে আমি,—বাঁধনের হাতে হেবে-হেরে চাহিয়াছি আকাশের মত এক অগাধের দেখা !— ভোরের মেঘের ঢেউয়ে মুছে দিয়ে বাতের মেঘের কালো বেথা! আমি প্রণয়িনী,—তুমি হে অধীর, আমার প্রণয়ী! আমার সকল প্রেম উঠেছে চোখের জলে ভেসে !— প্রতিধবনির মত হে ধবনি, তোমার কথা কহি কোঁপে উঠে—হদয়ের সে যে কত আবেগে আবেশে! সব ছেড়ে দিয়ে আমি তোমারে একাকী ভালোবেসে তোমার ছায়ার মত ফিরিয়াছি তোমার পিছনে! ζ) Ο