পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে পড়ে গেল এক রপেকথা ঢের আগেকার, কহিলাম,—শোনো তবে,— শনিতে লাগিল সবে, শুনিল কুমার;. কহিলাম,—দেখেছি সে চোখ বাজে আছে, ঘমোনো সে এক মেয়ে,—নিঃসাড় পরীতে এক পাহাড়ের কাছে; সেইখানে আর নাই কেহ,— এক ঘরে পালঙ্কের পরে শুধু একখানা দেহ পড়ে আছে;—পৃথিবীর পথে-পথে রুপ খুজে-খ:জে তারপর,—তারে আমি দেখেছি গো—সেও চোখ বাজে পড়ে ছিল ;–মসাণ হাড়ের মত শাদা হাত দটি বকের উপরে তার রয়েছিল উঠি! আসিবে না গতি যেন কোনোদিন তাহার দু'পায়ে, পাথরের মত শাদা গায়ে এর যেন কোনোদিন ছিল না হৃদয় – কিবা ছিল—আমার জন্য তা নয়। আমি গিয়ে তাই তারে পারি নি জাগাতে, পাষাণের মত হাত পাষাণের হাতে রয়েছে আড়ষ্ট হয়ে লেগে ; তবুও,- হয়তো তব উঠিবে সে জেগে তুমি যদি হাত দটি ধবো গিয়ে তার!— ফরালাম রুপকথা, শনিল কুমার। তারপর, কহিল কুমার, আমিও দেখেছি তারে—বসন্তসেনার মত সেইজন নয়—কিবা হবে তাই— ঘনমন্ত দেশের সে-ও বসন্তসেনাই! মনে পড়ে,—শোনো,—মনে পড়ে নবমী ঝরিয়া গেছে নদীর শিয়রে-- (পদ্মা—ভাগীরথী—মেঘা—কোন নদী যে সে— সে সব জানি কি আমি —হয়তো বা তোমাদের দেশে সেই নদী আজ আর নাই— আমি তব তার পাড়ে আজো তো দাঁড়াই!) সেদিন তারার আলো—আর নিবন্ধ-নিব জ্যোৎস্নায় পথ দেখে, যেইখানে নদী ভেসে যায় Վ) (: