পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাথরের হাতে তার রাখিবে তো হাত,— শরীরে ননীর ছিরি,—ছয়ে দেখো—চোখা ছরি,—ধারালো হাতির দাঁত ! হাড়েরই কাঠামো শধেনু--তার মাঝে কোনোদিন হাদয় মমতা ছিল কই!—তব, সে কি জেগে যাবে ? কবে সে কি কথা তোমার রক্তের তাপ পেয়ে ?— আমার কথার এই মেয়ে,—এই মেয়ে! কে যেন উঠিল বলে,—তোমরা তো বলো রূপকথা— তেপান্তরে গল্প সব,—ওর কিছদ আছে নিশ্চয়তা ! হয় তো অমনি হবে,—দেখিনিকো তাহা; কিন্তু, শোনো—স্বপন নয়—আমাদেরি দেশে কবে, আহা!— যেখানে মায়াবী নাই—জাদ নাই কোনো— এ-দেশের—গাল নয়—গল্প নয়, দ্য একটা শাদা কথা শোনো! সে-ও এক রোদে লাল দিন, রোদে লাল,—সবজীর গানে গানে সহজ স্বাধীন একদিন,—সেই একদিন! ঘুম ভেঙে গিয়েছিল চোখে, ছোড়া করবণীর মত মেঘের আলোকে | চেয়ে দেখি রপেসী কে পড়ে আছে খাটের উপরে! মায়াবীর ঘরে ঘমন্ত কন্যার কথা শুনেছি অনেক আমি, দেখিলাম তব চেয়ে-চেয়ে এ ঘমোনো মেযে রপ ঝরে যায়,—তব্য করে যারা সৌন্দয্যের মিছা আয়োজন,— যে-যৌবন ছিড়ে ফেড়ে.যায়, যারা ভয় পায় আয়নায় তার ছবি দেখে!— শরীরের ঘণে রাখে ঢেকে, ব্যথতা লকোয়ে রাখে বুকে, দিন যায় যাহাদের অসাধে,—অসখে — দেখিতেছিলাম সেই সন্দরীর মুখ, চোখে ঠোঁটে অসুবিধা—ভিতরে অসংখ! কে যেন নিতেছে তারে খেয়ে – এ ঘমোনো মেয়ে L পথিবীর,—ফোঁপরার মত করে এরে লয় শষে দেবতা গন্ধব নাগ পশম ও মানুষে ! • • • | সবাই উঠিল বলে-ঠিক-ঠিক-ঠিক! | ○ げ