পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিদিকে বেজে ওঠে অন্ধকার সমুদ্রের স্বর,— নতুন রাত্রির সাথে পথিবীর বিবাহের গান। ফসল উঠিছে ফলে,—রসে রসে ভরিছে শিকড়; লক্ষ নক্ষত্রের সাথে কথা কয় পথিবীর প্রাণ! সে কোন প্রথম ভোরে পথিবীতে ছিল যে সন্তান অঙ্কুরের মত আজ জেগেছে সে জীবনের বেগে । আমার দেহের গন্ধে পাই তার শবীরের ঘ্রাণ,— সিন্ধর ফেনার গন্ধ আমার শরীবে আছে লেগে । পৃথিবী রয়েছে জেগে চক্ষ মেলে,—তার সাথে সে-ও আছে জেগে । २ নক্ষত্রের আলো জেলে পরিচকার আকাশের পর কখন এসেছে রাত্রি!—পশ্চিমের সাগরেব জলে তার শব্দ;—উত্তর সমন্দ্র তার,—দক্ষিণ সাগর তাহাব পাযের শবেদ—তাহাব পাযেব কোলাহলে ভরে ওঠে ;–এসেছে সে আকাশেব নক্ষত্রেব তলে প্রথম যে এসেছিল, তারি মত;—তাহার মতন চোখ তার—তাহার মতন চুল,—বকেব অচিলে প্রথম মেয়ের মত –পথিবীর নদী মাঠ বন আবার পেয়েছে তারে,—সমুদ্রের পারে রাত্রি এসেছে এখন ! ළු সে এসেছে—আকাশের শেষ আলো পশ্চিমের মেঘে সন্ধ্যার গহবর খুজে পালায়েছে –রক্তে-বত্তে লাল হয়ে গেছে বকে তার,—আহত চিতাব মত বেগে পালাযে গিয়েছে রোদ,—সবে গেছে আলোর বৈকাল ! চলে গেছে জীবনের আজ এক,—আব এক ‘কাল’ আসিত না যদি আর আলো লয়ে—বৌদ্র সঙ্গে লয়ে — এই রাত্রি—নক্ষত্র সমুদ্র লয়ে এমন বিশাল আকাশের বকে থেকে পড়িত না যদি আর ক্ষয়ে – রয়ে যেত,—যে-গান শুনি নি আর তাহাব সমতির মত হয়ে । ○●