পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 যে-পাতা সবুজ ছিল—তবুও হলুদ হতে হয়,— শীতের হাড়ের হাত আজো তারে যায় নাই ছুয়ে;— যে-মখে যাবার ছিল—তব যার হয়ে যায় ক্ষয়, হেমন্ত রাতের আগে ঝরে যায়,—পড়ে যায় নয়ে;— পথিবীর এই ব্যথা বিহবলতা অন্ধকারে ধীয়ে পবে সাগরের ঢেউয়ে—জলে-জলে, পশ্চিম সাগরে তোমার বিননি খালে—হোঁট হয়ে—পা তোমার থয়ে— রয়ে যেতে যদি তুমি আকাশের নিচে,—নীল পথিবীর পরে! (k ভোরের সষের আলো পথিবীর গুহায় যেমন মেঘের মতন চুল—অন্ধকাব চোখের আসবাদ একবার পেতে চায়;—যে-জন বয় না—যেই জন চলে যায়, তারে পেতে আমাদের বদকে যেই সাধ ;– ষে ভালোবেসেছে শুধ হয়ে গেছে হৃদয় অবাধ বাতাসের মত যার,—তাহার বকের গান শনে মনে যেই ইচ্ছা জাগে –কোনো দিন দেখে নাই চাঁদ যেই রালি,—নেমে আসে লক্ষ-লক্ষ নক্ষত্রেরে গনে যেই রাত্রি, আমি তার চোখে চোখ, চুলে তার চুল নেব বনে ! Ն তুমি রয়ে যাবে,—তবর-অপেক্ষায় রয় না সময় কোনোদিন ;—কোনোদিন রবে না সে পথ থেকে সরে! সকলেই পথ-চলে—সকলেই ক্লান্ত তব হয়;— তবুও দু'জন কই বসে থাকে হাতে হাত ধরে! তবুও দু’জন কই কে কাহারে রাখে কোলে করে! মুখে রন্ত ওঠে—তব কমে কই বকের সাহস ! যেতে হবে,—কে এসে চুলের ঋ:টি টেনে লয় জোরে! শরীরের আগে কবে ঝরে যায় হাদয়ের রস!-- তবন-চলে,—মৃত্যুর ঠোঁটের মত দেহ যার হয়নি অবশ! 48