পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ রাত্রির ফলের মত—ঘমন্তের হৃদয়ের মত অন্তর ঘুমায়ে গেছে,—ঘমায়েছে মৃত্যুর মতন !— সারাদিন বনকে ক্ষুধা লয়ে চিতা হয়েছে আহত,— তারপর,—অন্ধকার গহো এই—ছায়াভরা বন পেয়েছে সে!—অশান্ত হাওয়ার মত মানুষের মন বজে গেছে—রাত্রি আর নক্ষত্রের মাঝখানে এসে – মৃত্যুর শান্তির সবাদ এইখানে দিতেছে জীবন,— জীবনেরে এইখানে একবার দেখি ভালোবেসে! শনে দেখি,-কোন কথা কয় রাত্রি, কোন কথা নক্ষত্র বলে সে! ミ○ পৃথিবীর অন্ধকার অধীর বাতাসে গেছে ভরে,— শস্য ফলে গেছে মাঠে,—কেটে নিয়ে চলে গেছে চাষা; নদীর পারের বন মানুষের মত শব্দ করে নিজন ঢেউয়ের কানে মানুষের মনের পিপাসা,— মৃত্যুর মতন তার জীবনের বেদনার ভাষা— আবার জানায়ে যায়!—কবরের ভূতের মতন পথিবীর বকে রোজ লেগে থাকে যে আশা হতাশা,— ஆ বাতাসে ভাসিতেছিল ঢেউ তুলে সেই আলোড়ন!— মড়ার কবর ছেড়ে পথিবীর দিকে তাই ছটে গেল মন! ૨8 হলদে পাতার মত—আলেয়ার বাপের মতনু, ক্ষীণ বিদ্যতের মত ছোড়া-মেঘ আকাশের ধাবে, আলোর মাছির মত—রনের সবনের মত মন একবার ছিল ঐ পথিবীর সমদ্রে পাহাড়ে,— ঢেউ ভেঙে ঝরে যায়,—মরে যায়,—কে ফেরাতে পারে! তবুও ইশারা করে ফাগুন-রাতেব গন্ধে বয়ে মৃত্যুরেও তার সেই কবরের গহবরে অাঁধারে জীবন ডাকিতে আসে ;—হয় নাই—গিয়েছে যা হয়ে, মৃত্যুরেও ডাক তুমি সেই ব্যথা আকাঙ্ক্ষার অস্থিরতা লয়ে! 以0