পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা হেটেছি যারা নিজন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়, দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফল কুয়াশার; কবেকার পাড়াগাঁর মেয়েদের মত যেন হায় তারা সব; আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধন্দল জোনাকিতে ভরে গেছে; যে-মাঠে ফসল নাই ত{হার শিযরে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ—কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে; আমরা বসেছি যারা অন্ধকারে দীঘ শীত-রাত্রিটিরে ভালো, খড়ের চালের পরে শনিয়াছি মগধরাতে ডানার সঞ্চার ; পরানো পোচার ঘ্রাণ;—অন্ধকারে আবার সে কোথায় হারালো! বুঝেছি শীতের রাত অপর প—মাঠে-মাঠে ডানা ভাসাবার গভীর আহাদে ভরা ; অশথের ডালে-ডালে ৬াকিয়াছে বক ; আমরা বুঝেছি যারা জীবনের এই সব নিভৃত কুহক ; আমরা দেখেছি যারা বনোহাঁস শিকারীর গুলির আঘাত এড়ায়ে উড়িয়া যায় দিগন্তেৰ নম্র নীল জ্যোৎস্নার ভিতরে, আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের পরে হত, সন্ধ্যার কাকের মত আকাঙ্ক্ষায় আমরা ফিবেছি যাবা ঘরে ; শিশর মুখের গন্ধ, ঘাস, রোদ, মাছরাঙা, নক্ষত্র, আকাশ আমরা পেয়েছি যারা ঘরে-ফিরে ইহাদের চিহ্ন বারো--স্ং দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রাণের অন্ধকারে হযেছে হলদে, হিজলের জানালায় আলো আর বলেসলি করিয়াছে খেলা, ইন্দর শীতের রাতে রেশমের মত রোমে মাখিয়াছে খন্দ, চালের ধসব গন্ধে তরঙ্গেরা রপে হয়ে ঝরেছে দু'বেলা নিজন মাছের চোখে ;–পর্কুেরের পাড়ে হাঁস সন্ধ্যার অাঁধারে পেয়েছে ঘামের ঘ্রাণ—মেয়েলি হাতের সপশ* লয়ে গেছে তারে; মিনারের মত মেঘ সোনালি চিলেরে তার জানালায় ডাকে, বেতের লতার নিচে চড়য়ের ডিম যেন শক্ত হয়ে আছে, নরম জলের গন্ধ দিয়ে নদী বার-বার তীরটিরে মাখে, খড়ের চালের ছায়া গাঢ় রাতে জ্যোৎস্নার উঠানে পড়িয়াছে ; বাতাসে ঝিঝি’র গন্ধ—বৈশাখের প্রান্তরের সবুজ বাতাসে ; নীলাভ নোনার বকে ঘন রস গাঢ় আকাঙ্ক্ষায় নেমে আসে;s է Օ