পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈতরণী কি যেন কখন আমি মৃত্যুর কবর থেকে উঠে আসিলাম আমারে দিয়েছে ছটি বৈতরণী নদী শকুনের মতো কালো ডানা মেলে পথিবীর দিকে উড়িলাম সাত-দিন সাত-রাত উড়ে গেলে সেই আলো পাওয়া যায় যদি পৃথিবীর আলো প্রেম ? আমারে দিয়েছে ছটি বৈতরণী নদী। সাত-দিন শেষ হল—তখন গভীর রাত্রি পৃথিবীর পারে আমারি মতন ক্ষিপ্র ক্লান্ত এক শকুনের পাল দেখিলাম আসিতেছে চোখ বজে উড়ে অন্ধকারে তাহারা এসেছে দেখে পৃথিবীর সকাল বিকাল ক্লান্ত ক্লান্ত শকুনের পাল ! শধোলাম : তোমাদের দেখেছি যে বৈতরণী পারে সেইখানে ঘনম শতধন-—শুধ বারি—মৃত্যুর নদীর পারে, আহা, পৃথিবীর ঘাম রোদ মাছরাঙা আলো-ব্যস্ততারে ভালো কি লাগে নি, আহা,—শধোলাম— শকুনেরা শুনিল না তাহা, ডুবে গেল অন্ধকারে, আহা!

একজন রয়ে গেল--বিবণ বিস্তৃত পাখা ঘরোয়ে সে মাঝ ,ন্যে থেমে : কোথায় যেতেছ তুমি ? পথিবীতে ? সেইখানে r আছে তোমার ? ‘আমি শধে নাই, হায়, আব সবই রয়ে গে:- সকলে এসেছি আমি নেমে বৈতরণী : তার জলে,—যারা তব ভালোবাসে—ভালোবাসিবার খানিক ভূবিল কি যে সেই প্রাণ—ফ্রান্ত হল—তারপর পাখা কখন দিয়েছে মেলে বৈতরণী নদীটির দিকে ; বলিলাম : 'ঐ দেখ—দেখা যায় তমালের হিজলের অশথের শাখা আর ঐ নদীটিরে দেখা যায়—আমার গাঁয়ের নদীটিকে— চলে গেল তব সে যে কুয়াশার দিকে ! তারপর সাত-দিন সাত-রাত কেটে গেল পৃথিবীর আলো-অন্ধকারে আবার চলেছি উন্ধুে একা-একা শকুনের কালো পাখা মেলে పిసి