রা। এখন শুনিবার সময় নয়।
শ। তাহাকে কি আজিই নিকেশ করিতে হইবে?
রা। হাঁ, পারিলে ভাল হয়।
শ। যদি করিতে পারি, তাহা হইলে কি হইবে?
রা। তোমার সঙ্গে—।
শঙ্করদাস জালে পড়িল।
কমলা পুনরায় কহিলেন, “আর আমার এই অসীম ধনের অর্দ্ধেক তোমাকে তৎক্ষণাৎ দিব। যদি আমাকে চাও, ও আমার এই অতুল ঐশ্বর্যের অধিকারী হইতে চাও, তবে যাহা বলিলাম, তাহা অবিলম্বে সম্পন্ন কর।”
শঙ্কর। ভয় কি-শঙ্কর দাস থাকিতে অমরচাঁদকে ভয়? নিশ্চয় বলিতেছি, সে আর এ পৃথিবীতে নাই, তাহার প্রাণবায়ু বায়ুতে মিশাইয়াছে, কল্য সূর্য্যোদয়ের সঙ্গে তাহার নাম-গন্ধ পর্য্যন্ত এই পৃথিবী হইতে লুপ্ত হইবে।
কমলা একটু মধুর হাসি হাসিয়া বলিলেন,—
“তোমার সহিত অমরচাঁদের তুলনাই হয় না।”
শ। আচ্ছা, আমি আর একটা কথা জিজ্ঞাসা করিব।
রা। শীঘ্র বল, বিলম্বে কার্য্যহানি।
শ। অমরচাঁদের দ্বারা আপনি কি কোন প্রকার অত্যাচারিত হইয়াছিলেন?
কমলা দেবীযর চক্ষুর্দ্বয় হইতে যেন অগ্নিকণা বর্ষণ হইল। বলিলেন, “ও আমার যম! আমাকে খেতে এসেছে, যেখানে যাই, সঙ্গে সঙ্গে। কাশীতেও এসেছে আমাকে খেয়ে ফেল্বার জন্যে।”