পাতা:নটীর পূজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নটীর পূজা
২৩

মতো খসে খসে পড়বে। —তোমরা কুমারীরা এখানে কী করছ।

রত্নাবলী

হাসিয়া

 অপেক্ষা করছি উদ্ধারের। মলিন মনকে নির্মল করে এই শ্রীমতীর শিষ্যা হবার পথে একটু একটু করে এগোচ্ছি।

বাসবী

 অশ্রাব্য তোমার এই অত্যুক্তি।

লোকেশ্বরী

 এই নটীর শিষ্যা। শেষকালে তাই ঘটাবে, সেই ধর্ম ই এসেছে। পতিতা আসবে পরিত্রাণের উপদেশ নিয়ে! শ্রীমতী বুঝি আজ হঠাৎ সাধ্বী হয়ে উঠেছে। যেদিন ভগবান বুদ্ধ অশোকবনে এসেছিলেন রাজপুরীর সকলেই তাঁকে দেখতে এল, একেও দয়া করে ডাকতে পাঠিয়েছিলেম। পাপিষ্ঠা এলই না। তবু আজ নাকি ভিক্ষু উপালি রাজবাড়িতে একমাত্র ওর হাতেই ভিক্ষা নিতে আসে, রাজকুমারীদের এড়িয়ে যায়। মূঢ়ে, রাজবংশের মেয়ে হয়ে তোরা এই ধর্মকে অভ্যর্থনা করতে বসেছিস, উচ্চ আসনকে ধুলায় টেনে ফেলবার এই