পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

338 নদীয়া কাহিনী। রামনাথ উদাস দৃষ্টিতে উর্ভে নিকটস্থ এক তিন্তিড়ী বৃক্ষের দিকে কিয়ৎক্ষণ মাত্র তাকাইয়া চলিয়া যান। অবোধ গৃহিণী-বুঝি স্বামী তিন্তিড়ী পত্রের ব্যঞ্জন ব্লাধিতে অনুমতি করিলেন ভাবিয়া, মধ্যাহে স্বামীকে তিন্তিড়ী পত্রের ব্যঞ্জন Dq DBD KYBB BBBSS rBDD gDz DBB DB BDBE DDD BDD বোধে ভোজন করিলেন । ... " এইরূপে যখন তঁহাদের অ্যাকাঙ্খারহিত পুণ্যময় জীবন অতিবাহিত হইতেছিল, তখন তদানীন্তন নবাৰীপাধিপতি রাজা শিবচন্দ্ৰ তাহদের এই দুঃখকাহিনী শ্ৰবণ করিয়া কিছু সাহায্য-মানসে এক দিন তাহাদের কুটীরে পদাৰ্পণ করেন। রামনাথ তখন একাগ্ৰমনে পাঠ দেখিতে ছিলেন, সুতরাং প্রথমে রাজাকে দেখিতে পান নাই । পরে সবিশেষ আদর করিয়া তাহার অভ্যর্থনা করিলেন। রাজা উপবিষ্ট হইয়া কথাস্তরে রামনাথকে তঁহার কিছু অনুপপত্তি আছে কিনা, জিজ্ঞাসা করেন। তাহাতে রামনাথ উত্তর করেন, “মহারাজ ! সম্প্রতি চারিখণ্ড চিন্তামণি শান্ত্রের উপপত্তি করিয়াছি, আর এখন কিছুই ত অনুপপত্তি দেখিতেছিনা।” এই উত্তরে মহারাজ আশ্চৰ্য্য হইয়া পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিলেও সন্ত্রীক রামনাথ তাহার দান অস্বীকার করেন। এই সময়ে কলিকাতার রাজা নবকৃষ্ণের ৰাটী জনৈক দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত আগমন করেন ও তদুপলক্ষে এক মহতী সভা আহত হয়। সেই সভায় ত্ৰিবেণীর জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন, নববীপের নৈয়ার্ষিকশ্ৰেষ্ঠ শিবনাথ বাচস্পতি প্রমুখ পণ্ডিতগণ উপস্থিত ছিলেন; কিন্তু দিগ্বিজয়ীর প্রশ্নের উত্তরদানে সকলে অক্ষম হইলে এই নির্লোভী মহাপণ্ডিত বুনো রামনাথই নদীয়ার চিররক্ষিত সম্মান রক্ষা করেন । । শিবনাথ বিদ্যাবাচস্পতি । শিবনাথ বিদ্যাবাচস্পতি তাহার পিতা শঙ্কর তর্কবাগীশের পরলোকের পর প্রাধান্ত প্ৰাপ্ত হয়েনি। কথিত আছে, ইহার পিতার শ্ৰাদ্ধাসভায় দেশমাঙ্গ যাবতীয় অধ্যাপকমণ্ডলীর সমাবেশ হয় এবং সেই সভায় ত্ৰিবেণীর সুপ্ৰসিদ্ধ