পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৭০

Nobr नौश! काश्निी । কৃত হুৰ্দশাগ্ৰস্ত অবশিষ্ট আদিম সপ্তশতী ও জ্যোতিষী সরঘুপান্ধী প্রভৃতি ব্ৰাহ্মণগণ একটু অবস্থাপন্ন হইলেই নানা কৌশলে প্ৰবল ব্ৰাহ্মণ-সম্প্রদায়ে মিশিতে লাগিলেন । আবার কতকগুলি সপ্তশতী অবস্থা-হীনতা প্ৰযুক্ত সরযুপারি-গ্রহবিপ্ৰদের মধ্যে মিশিয়া গিয়াছেন, তাহাও কুলজীতে লিখিত আছে। এই রূপে বঙ্গদেশের সপ্তশতী ব্ৰাহ্মণ সমাজের নাম পৰ্য্যন্ত বিলুপ্ত হইল ও সরযুপরী গ্রহবিপ্ৰগণ সমাজের অধিকাংশকে হারাইয়া নিতান্ত দুৰ্বল অবস্থায় বঙ্গদেশে বাস করিতে লাগিলেন। দ্বাদশ খ্ৰীষ্টাব্দে যখন সেনবংশীয়গণ নবদ্বীপ-রাজধানীতে অবস্থান করিয়া বঙ্গদেশ শাসন করেন, তখনও গতাবশিষ্ট গ্রহবিপ্ৰ বা জ্যোতিষী ব্ৰাহ্মণের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত হ্রাস হইলেও নিতান্ত অল্প ছিল না। সেনাবৎশীয়দের সময়ে ও জ্যোতিঃশাস্ত্রের বিলক্ষণ সমাদর ছিল । শ্ৰীষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগেও নবদ্বীপে জ্যোতিঃশাস্ত্রের বিলক্ষণ চর্চা ছিল। শ্রীচৈতন্তের জন্মকালে তঁহার জীবনের ভাবি ফলাফল গণনা কবিয়া নবদ্বীপের জ্যোতির্বিৎ গ্রহবিপ্ৰগণ পণ্ডিত্যের বিলক্ষণ পরিচয় প্ৰদান করিয়াছিলেন। শ্ৰীষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে নদীয়ার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ভবানন্দমজুমদার যখন আব্দুলিয়া গ্রামে বাস করেন, সেই সময়ের কয়েকটী জ্যোতির্বিৎ গ্রহবিপ্ৰবংশের পরিচয় পাওয়া যায় । নিয়ে যথাক্রমে ঐ সকল বংশের সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত লিখিত হইতেছে। গগ-গোত্রীয় হৃদয়ানন্দবিদ্যার্ণব । হৃদয়ানশ্ববিদ্যার্ণব একজন অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন। ইনি গণিত ও জাতিক উভয়বিধ জ্যোতিঃ শাস্ত্ৰেই বিলক্ষণ কৃতিত্ব দেখাইয়া গিয়াছেন। তদানীন্তন কালে হৃদয়ানশ্ববিদ্যাৰ্ণবের ভায় কৃতী জ্যোতির্ষিৎ বঙ্গে কেহই ছিলেন না। ভবানন্দ মজুমদার এই বিদ্যার্ণব মহাশয়কে যথেষ্ট সম্মান ও বিশ্বাস করিতেন। হৃদয়ানদের কুত “জ্যোতিঃসারসংগ্ৰহী” একখানি সুপ্ৰসিদ্ধ গ্রন্থ। হৃদয়ানন্দবিদ্যার্ণব বোধ হয় অতিশয় দীর্ঘজীবী ছিলেন, তেজঙ্গই আমরা ভবানন্দ মজুমদারের প্রপৌত্র