পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नींद्र काश्निो'। ܬܵܦܠ মহারাজ রামজীবনের সময়েও যে তিনিই নদীয়া রাজধানীর জ্যোতির্ষিৎ পণ্ডিত । ছিলেন, এইরূপ প্রাচীন পরম্পরার মুখে গল্প শুনিতে পাই। রাজা রঘুরামের সময় হৃদয়ানন্দবিদ্যাৰ্ণবের পুত্র বিষ্ণু দাস জ্যোতির্বিৎ পণ্ডিত হন। ইহার কোন উপাধি ছিল কি না জানা যায় না। তাহার পর, রাজরাজেন্দ্ৰ কৃষ্ণচন্দ্ৰ । রায়ের সময়েই নদীয়ার রাজবংশের চরম উন্নতি হয়। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰ উজয়িনীর বিক্ৰমাদিত্যের নবরত্নসভার আকারে স্বীয় রাজধানীতে একটি “পঞ্চরত্নসভা” প্রতিষ্ঠিত করেন। এই সভায় বরাহমিহিরের ন্যায় বিষ্ণু দাসের পুত্র সুপ্ৰসিদ্ধ রামরুদ্রবিদ্যানিধি অন্যতম রত্ব ছিলেন। এই রােমরুদ্রবিদ্যানিধি অসাধারণ পণ্ডিত । তাহার কৃত কতিপয় জ্যোতিষ গ্ৰন্থ “এবং পঞ্জিকা গণনার সহজ সঙ্কেত-সূচক পুস্তকসমূহ অদ্যাপি এই বংশের কোন আত্মীয়ের গৃহে বিদ্যমান আছে। রামারুদ্রবিদ্যানিধি সম্বন্ধে অনেক কিম্বদন্তী প্ৰচলিত আছে। তন্মধ্যে একটি এখানে উল্লেখ করা যাইতেছে। এক সময় মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায় স্বীয় বিস্তৃত জমিদারীর কর যথাসময়ে না দিতে পারায় নবাব কর্তৃক আহত হইয়া মুর্শিদাবাদে গমন করিয়াছিলেন। মহারাজ যখনই মুর্শিদাবাদ যাইতেন, তখনই কয়েকটি প্ৰিয়পাত্রকে সঙ্গে লইয়া যাইতেন। যে সকল পণ্ডিত মহারাজেয় । প্রীতিভাজন ছিলেন, তন্মধ্যে রামরুদ্রবিদ্যানিধি অন্যতম। প্রতিদিনই মহারাজকে । পরিষদগণ সহ নবাবের দরবারে হাজির থাকিতে হইত। নবাব তদানীন্তন বঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয় নবদ্বীপের পণ্ডিতগণের রাজা বলিয়া মহারাজকে বিশেষ সম্মান । করিতেন এবং প্রায়ই তঁহার নিকট কোন না কোন হিন্দুশাস্ত্রের কথা উত্থাপন । করিয়া শাস্ত্ৰচৰ্চ-প্ৰসঙ্গে আনন্দ অনুভব করিতেন। এক দিবস মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰ পারিষদগণ সহ নবাবের দরবারে উপস্থিত আছেন, এমন সময় নবাব প্রশ্ন করিলেন;- “আজ কি তিথি ?” মহারাজ রামরুজ্ববিদ্যানিধির দিকে দৃষ্টিপাত করিতেই তিনি বলিলেন, “আজ পূৰ্ণিমা”। নবাবের জানা ছিল, পণ্ডিতদের অনেক সময় । ভুল হয়, তিনি একটু রহস্ত করিবার মানসে জিজ্ঞাসা করিলেন;-“আজি সমস্ত রাত্রিই জ্যোৎজাময় থাকিবে ? বিদ্যানিধি উত্তর করিলেন “ই। হুজুর আজ । সমস্ত রাত্রিই জ্যোৎস্নময় থাকিবে"। নবাব হাসিয়া বলিলেন “পণ্ডিতজী আপনি মিথ্যাকথা বলিতেছেন “ বিদ্যানিধি একটু নিৰ্ম্মিত হইয়াবলিলেন “না খোদাৰুদ ।