পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S80 नौशा कांश्निौ। আমি ঠিক বলিতেছি ”। নৰাব একটু রুক্ষভাবে বললেন "কেন আপনিই না। গণিয়া লিখিয়াছেন, আজ “চন্দ্ৰগ্ৰহণ” এখন আবার কেমন করিয়া বলিতেছেন “সমস্তুরাত্রি জ্যোৎস্নাময় থাকিবে ?” ঐ সময়ে বঙ্গদেশে একখানি মাত্র পঞ্জিকা গণিত হইত, ঐ পঞ্জিকার গণক উক্ত রামরুদ্রবিদ্যানিধি। তখন মুদ্রাযন্ত্র ছিল না, সুতরাং বিদ্যানিধি মহাশয় স্বয়ং পঞ্জিকা স্বহস্তে লিখিতেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰ একখানি পঞ্জিকা নবাব সরকারে ও বঙ্গের বিশেষ বিশেষ রাজা জমিদার ও ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতদিগের নিকট কয়েকখানি পঞ্জিকা প্রেরণ করিতেন। ঐ সময় রঘুনন্দনের স্মৃতির অপেক্ষা ও অপ্রতিহত প্ৰভাবে এই পঞ্জিকার ব্যবস্থা বঙ্গের সর্বত্র গৃহীত হইত। নবাবের কথায় মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের স্মরণ হইল যে, সে দিবস চন্দ্ৰগ্ৰহণ। পূর্ব দিবসেই গ্ৰহণ কালে কৰ্ত্তব্য বৈধ কাৰ্য্যাদির ব্যবস্থা করিয়া রাখিয়াছেন। সুতরাং তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন। ভাবিলেন “কি দুৰ্ভাগ্য ! নিতান্ত গ্ৰহবৈগুণ্যবশতই রুদ্রবিদ্যানিধির নবাবের সম্মুখে এই দুৰ্দশা ঘটিল’ । মহারাজ লজ্জায় আর মাথা তুলিতে পারিলেন না। রামরুদ্রবিদ্যানিধি একটু চিন্তা করিয়াই সপ্ৰতিভভাবে বলিলেন “খোদাবন্দু ! আজি চন্দ্ৰ গ্ৰহণ দেখিতে পাইবেন না, আজ সমস্ত রাত্তি জ্যোহ্মাময় থাকিবে।” নবাব তখনি পঞ্জিকা আনাইয়া ঐ দিনের নিমেরটানিতে অঙ্গুলিসংযোগ পূর্বক বলিলেন, “সৰ্ব্বগ্রাস চন্দ্ৰগ্ৰহণ।” এ কথাটী কাহার হাতের লেখা ?” বিদ্যানিধি বলিলেন “আমি লিখিয়াছি বটে কিন্তু ঐ গ্ৰহণ আজ দেখা যাইবে না।” নবাব বলিলেন “যদি দেখা না যায়, তাহা হইলে পুরস্কত করিব কিন্তু যদি দেখা যায়?” বিদ্যুনিধি বলিলেন “আপনার বাহা ইচ্ছা তাহাই করিবেন।’ এমন সময় দরবার ভঙ্গ হইল। মহারাজ বাসায় আসিয়া বলিলেন “বিদ্যানিধি করিলে কি ? নবদ্বীপের পণ্ডিতগণের রাজা বলিয়া নবাবের নিকট যে প্রতিপত্তি টুকু ছিল আজ হইতে সে সমুদয়ই নষ্ট হইল, এখন উপায় ? আগামী কল্য তোমার কি দশা হইবে এবং কি প্রকারেই বা আমি নবাবের দরবারে মুখ দেখাইব।” বিদ্যানিধি বলিলেন ‘মহারাজ চিন্তা করিবেন না, গ্ৰহণ হইবে না।” মহারাজ বলিলেন “সৰ্ব্বগ্রাস গ্রহণও কি কখন না হইয়া যায়, তুমি এ কি প্ৰলাপ বকিতেছ, এক বৎসর মাথা ঘামাইয়া যাহা স্থি করিয়াছ, এক কথায় বলিলে তাহা হইবে না ?” । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায় দুশ্চিম 의한