পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy নদীয়া-কাহিনী অধিকাল উহ্য ফলিত। অনেকে উহা পরীক্ষা করিয়াও দেখিয়াছেন। কোন সময়ে বঙ্গের কোন ব্রাহ্মণ-জমিদারের একমাত্র পুত্রের এক জন্মপত্রিকা প্ৰস্তুত করেন। উহাতে মােস ফল লিখিত হইয়াছিল। উনিশ বৎসর সাত মাসে বিবাহ হুইবে লেখা ছিল। ঐ জমিদার প্রতিজ্ঞা করেন, ঐ সময়ের দুই বৎসর পরে পুত্রকে বিবাহ দিবেন। তজ্জ্বঙ্গ অনেক সম্পন্ন কন্যাদায়ুগ্ৰন্তকে নিয়ত প্রত্যাখান করিত্তে লাগিলেন। কিন্তু শেষে এমন একটী অপরিহার্ঘ্য ঘটনা আসিয়া উপস্থিত হইল যে, ঠিক উনিশ বৎসর সাত মাস শেষ হইবার দুই দিন পূৰ্ব্বে পুত্রের পরিণয় কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে হইল। কতকগুলি বিখ্যাত নীলকুঠিীর কৰ্ত্ত এক সাহেবের কোন সময় একটি মূল্যবান দ্রব্য অপহৃত হয়। এই দ্রব্যের জন্য কুঠীতে তোলপার উপস্থিত হয়। কুষ্ঠীির দেওয়ান ও অন্যান্য কৰ্ম্মচারীর প্রতি সাহেব হুকুম করেন-‘ঘদি এক সপ্তাহের মধ্যে ঐদ্রব্যট না পাওয়া যায়, দেওয়ান কৰ্ম্মচুত হইবেন । মহাসঙ্কটে পড়িয়া দেওয়ানূ বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের শরণাগত হন। বিদ্যাবাগীশ মহাশয় গণনা করিয়া যে স্থানে দ্রব্যটি আছে বলিয়া দেন। যে ভৃত্য ঐ দ্রব্য হরণ করিয়াছিল, সে মহাবিপদ গণনা করিয়া বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের পায়ে আসিয়া পড়ে। দয়ালু বিদ্যাবাগীশ মহাশয় তাহা*ে অভয় প্রদান করিয়া বিদায় করেন। দেওয়ানের বিশেষ অনুরোধ-সত্ত্বেও ঐ ভূত্যের স্পষ্ট নাম করেন নাই। : ) বিদ্যাবাগীশ মহাশয় প্রতিদিন ব্রাহ্মমুহূর্জেটাউঠিয়৷ স্নান সন্ধ্যা পূজাদি শেষ করিতেন। সমস্ত রাত্রি বড় বহিয়াছে, প্রভাতেও বৃষ্টির বিরাম নাই, এ অবস্থায়ও তিনি প্ৰাতঃ-ক্সন পরিত্যাগ করেন নাই। সদাচার ও নিয়ম পালনের নির্মিত্ত তাহার দেহে কোনই ব্যাধি ছিল না। লোকে তঁহাকে ‘বাকৃসিদ্ধ পুরুষ” বলিত। তিনি যাহাকে যাহা বলিতেন, তাহাই সিদ্ধ হইত। একবার ভাত্রমাসে বিদ্যাবাগীশ মহাশয় নৌকায় তাহার বাচী হইতে পাঁচ ক্রোশ দূরে একটি গ্রামে কোন কার্ধে*“পলক্ষে গমন করেন। ঐ গ্রাrষর একটি প্রধান ব্যক্তির পুত্রের তিনি ইতঃ পূৰ্ব্বে একটি ঠিকুজী লিখিয়াছিলেন। খালের ধারেই ঐ ব্যক্তির বাটী, বিদ্যাবাগীশ মহাশয় নৌকা হইতে ক্ৰন্দনধ্বনি শুনিয়া নৌকা বাধিতে বলিয়া ঐ বাড়ীতে প্ৰবেশ করিলেন। তিনি যে শিশুর ঠিকুজী লিখিয়ছিলেন, সেই শিশুকেই গ্ৰাহ্মণে শিয়ান দেখিলেন। শিশুর পিতাও অন্যান্য সকলে পঞ্চমঘৰীয় সেই মৃতকল্প শিশু