পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাভ্যাস করিতে লাগিলেন। ঈশ্বর গুপ্ত জন্ম কবি। বাল্যকালে যখন তঁহার । জ্যেষ্ঠতাতপুত্ৰ মহেশ্চন্দ্র প্রভৃতি পশাঁ পড়িতেন, ঈশ্বরচন্দ্র তখন তঁহাদের - মুখে সেখ সাদী প্রভৃতি কবিতার অর্থ শুনিয়া বাঙ্গলায় পদ্য রচনা করিতেন। প্তাহার জ্যেষ্ঠতাতপুত্র অহেশ্চত্র বাল্যকাল হইতে কবিতা রচনা করিতেন এবং তিনিও একজন সুকবি ছিলেন। একদিন ঈশ্বরচন্দ্ৰ কৌতুক করিয়া তাঁহাকে । বলেন, “দাদা লেজ লুকালে কেন, তাহাতে মহেশ্চন্দ্র তৎক্ষণাৎ উত্তর দেন- । ‘ওরে দুই ভায়ের হুই থাকলে লেজ, খাকত না সংসার। । একে তোমার লেজে গেছে মতে, সোণার লঙ্কা ছার খায়।” । যাহাহউক তঁহাদের দুই ভাইয়ে বেশ সম্প্রীতি ছিল। ঈশ্বরচন্দ্রের বঙ্গভাষা ও ংস্কৃতানুরাগ ঠাহার ইংরাজী শিক্ষার অন্তরায় হইয়া দাঁড়ায়। সুতরাং তিনি ইংরাজি পরিত্যাগ করিয়া মাতৃভাষা অনুশীলনে মনোযোগী হয়েনি। ১৫ বর্ষ। বয়ঃক্রম কালে গুপ্তিপাড়ানিবাসী গৌরহরি মল্লিকের কন্যা দুর্গামণি দেবীর সহিত র্তাহার বিবাহ হয়। দুর্গামণি, রূপে কুৎসিত ও নিতান্ত নিৰ্বন্ধি ছিলেন, একারণে স্বামীর সহিত জীবনে একদিনও তাঁহার মিলন হয় নাই। : পাথুরিয়াঘাটায় গোপীমোহন ঠাকুরের পৌত্র বোগের বিশেষ প্ৰণয় ছিল। " ইহার সাহায্যে .. eta r প্রভাকর" নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশ করেন। যোগেন্দ্রনাথের মৃত্যু হইলে প্রভাকর' উঠিয়া যায়। অনন্তর ১২৭ ২৭শে শ্রাবণ বুধবার হইতে তিনি কানাইলাৰ ঠাকুরের সাহায্যে পুনরায়। দৈনিক রূপে বাহির হয়। ইহাই বঙ্গভাষার সর্পপ্ৰথম দৈনিক পত্রিকা। –