পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौशा-काश्निौ। نواساة প্ৰথম সংস্কারকরূপে গণ্য ছিলেন। বৰ্ত্তমান কালের কলিকাতার অন্যতম সুপ্ৰসিদ্ধ বিলাত প্ৰত্যাগত ডাক্তার মহেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাহার কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা। হরিনাথ মজুমদার। সাধু হরিনাথ ১২ ৪০ সালে নদীয়ার কুমারখালি গ্রামে জন্ম গ্ৰহণ করেন। শৈশবেই তঁহার পিতা মাতার মৃত্যু হয়, একারণে তাঙ্কার পিতৃব্য পত্নীই তঁহাকে লালন পালন করেন। দরিদ্রের সংসারে জন্ম হইলেও পাঠের প্রতি তঁহার অতিশয় যত্ব ছিল। অর্থের অভাবে স্থলে যথারিতি পাঠাভ্যাস। তঁহার অদৃষ্ট ঘটে নাই বটে কিন্তু তিনি স্বীয় অধ্যবসায় বলে বাঙ্গালা ভাষায় যেরূপ বুৎপন্ন হইয়াছিলেন তাহা কৃতবিদ্য অনেকের ভাগ্যেও ঘটে না, তঁহার লিখিত ফকিরর্চদ ভণিতা যুক্ত সহস্ৰ সহস্ৰ সাধন সঙ্গীত এবং সুবিখ্যাত পুস্তক বিজয়বসস্ত ও পরমার্শ্বগাথা, কবিকল্প, দক্ষযজ্ঞ, বিজয়, অক্রুর সংবাদ, ভাবোচ্ছাস, মাতৃমহিমা, ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ প্রভৃতি তঁহার প্রকৃষ্ট জ্ঞান ও শিক্ষার পরিচয় প্ৰদান করিতেছে। পদ্য রচনায় কবি ঈশ্বর চন্দ্ৰ গুপ্ত র্তাহার পথ প্রদর্শক । ‘সংবাদ প্রভাকরে" তাহার বহু প্ৰবন্ধ স্থান পাইয়াছিল। ১২৭০ সালে ১লা বৈশাখ “গ্রামবৰ্ত্তী প্ৰকাশিত” নামে একখানি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। প্ৰথমে ইহা ছিল মাসিক পরে হয় পাক্ষিক পরে সপ্তাহিক । বাইশ বৎসর কাল এই পত্র চলিয়াছিল। হরি নাথ একদিকে যেমন সুলেখক ছিলেন তেমনি অপর দিকে তত্ত্বদেশী ও সাধক ছিলেন, তাহার সরল উদার ভাব তাহাকে “কাঙ্গাল” উপাধি দিয়াছিল। ১৩০ ও সালে ৬৩ বৎসর বয়সে হরিনাথ দেহত্যাগ করেন। তিনি শেষ জীবনে একখানি সুবৃহৎ আত্মচারিত লিখিয়া রাধিয়া গিয়াছেন, উহা এক্ষুণ তাহার পুত্রের নিকট আছে কিন্তু এখনও ছাপা হয় নাই, তাহাতে কুমার খালির ইতিবৃত্ত, সামাজিক ও ব্যক্তিগত ইতিহাস ইত্যাদি বহু জ্ঞাতব্য বিষয় সন্নিবিষ্ট VACg ..

  • ,