পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à 88 नौश-कोहिनी । ঐ সংঘারাম সকলে ১১৫০ জন ভিক্ষু বাস করিতেন। দেবমন্দিরের সংখ্যা ছিল ৪৪২। প্রত্যেক ভিক্ষুর বাৎসরিক ব্যয়ভার অন্ততঃ এক শত গৃহস্তকে বহন করিতে হইত ; সুতরাং তখন ঐ সকল স্থানে ১১৫০,০০০ গহস্থ বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী ছিল ইহা স্বীকার করা যাইতে পারে। ভয়েন্ত সাং কেবল ৮টা কি ১টি নগরের কথা লিখিয়া গিয়াছেন; উহাতেই বৌদ্ধমতাবলম্বী লোকের সংখ্যা ১১৫০,০০০; সুতরাং সেই সময়ে সমগ্র বঙ্গদেশে যে অসংখ্য বৌদ্ধ মতাবলম্বী লোক ছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই ; কিন্তু এই সময়ে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মেয় ক্ৰমোন্নতির পথে নানা অন্তরায় উপস্থিত হয়। শশাঙ্ক নামে একজন প্ৰতাপশালী হিন্দু রাজা বঙ্গদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্মের উচ্ছেদ কল্পে যত্নবান হইয়াছিলেন। কিন্ত তিনি কতদূর কুতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন তাহা বলা যায় না। সপ্তম শতাব্দীতে গুপ্ত নরপতিগণই মগধে রাজত্ব করিতেন। পরে নবম শতাব্দীতে পাল বংশীয় বৌদ্ধ নরপতিগণ মগধের সিংহাসনে আরূঢ় হয়েনি। উহাদেরই রাজত্ব কালে হিন্দু কুল চুড়ামণি মহারাজা আদিশূর শ্ৰীহৰ্ষ প্ৰমুখ ব্ৰাহ্মণগণের সাহায্যে গৌড়বঙ্গ হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিলোপসাধনে বদ্ধপরিকায় হইয়া উঠেন এবং বহুল পরিমাণে কৃতকাৰ্য্য হয়েন। কিন্তু সহসা তিনি কালমুখে পতিত হওয়ায় তত্ত্বংশীয়গণের পরাক্রম খাির্স করিয়া মগদধিপতি পাল রাজগণ গৌড়বঙ্গের অধীশ্বর হইয়া উঠেন, এবং নবদ্বীপের সন্নিকটস্থ সুবৰ্ণ বিহার নামক স্থানে নিয় বঙ্গের রাজধানী স্থাপনা করেন। পালরাজগণ বৌদ্ধ মতাবলম্বী ছিলেন। সেই কারণে তঁহাদের রাজধানীর “সুবৰ্ণবিহার" এই নাম কারণ করেন। এখানে অদ্যাপি তাহদের প্রস্তুয়াদি নিৰ্ম্মিত প্ৰাসাদের ধ্বংশাবশেষ পরিদৃষ্ট হইয়া থাকে। এই পাল রাজগণের রাজত্ব কালেই নদীয়ায় বহুল পরিমাণে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিস্মার কল্পনা করা বোধ হয়। অসঙ্গত হইবেন। ৰৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী পালবংশীয় নরপতিগণ কিছু কাল রাজত্ব করিলে পর সেন বংশীয় হিন্দুরাজগণ পূনরায়ু মন্তকোত্তন করিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব দেশ হইতে আবার ধীরে ধীরে অন্তমিত হইতে লাগিল। শৈব ধৰ্ম্মাবলী সেন রাজগণ প্রবল হইয়া উঠিলেই পালবংশীয়গণের প্রভাব একেবারেই বিলুপ্ত হইয়া গেল। দেশমধ্যে তখন হিন্দু ও বৌদ্ধে প্ৰতিদ্বন্দিতা উপস্থিত 咬而1 ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য দৃঃ নবম শতাব্দীতে বৌদ্ধধর্মের মুলে যে কুঠারাঘাত করি গিয়াছিলেন তাঁহারই ফলে উহা এতদিনে ক্ৰমে হীন হইতে হীন বল হইতেলি