পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২২৭

नशैझा-काछिनौ । SIC এক্ষণে রাজশক্তির সাহায্য পাইয়া শৈবধৰ্ম্ম বঙ্গদেশে বহুল পরিমাণে প্ৰচারিত হইয়৷ পড়িল। এই সেন রাজগণের অন্যতম রাজা সামন্ত সেন বুদ্ধবয়সে। গঙ্গাবাসের নিমিত্ত বৰ্ত্তমান নবদ্বীপের অনতিদূরে এক উপনিবেশ স্থাপন করেন। সামান্ত সেনের প্রপৌত্র সুবিখ্যাত বল্লাল সেন এই নবদ্বীপ নগরীতেই ওঁঠহার। অন্যতম রাজধানী স্থাপনা করেন। কথিত আছে এই নবদ্বীপের প্রাসাদে থাকিয়াই তিনি তাহার সুবিখ্যাত সামাজিক সংস্কার সাধন করেন। তঁহারই অনুকান্ত । পরিশ্রমের ফলে বাঙ্গলার মৃতপ্রায় হিন্দুধৰ্ম্ম পুনজীবিত হইয়া উঠে। হিন্দু পারিষদ, হিন্দুমন্ত্রী, হিন্দু কবি, হিন্দু দার্শনিকে রাজসভা পরিপূর্ণ হইয়া গেল । পৌত্তলিক হিন্দুপণ্ডিতগণ স্বধৰ্ম্মী রাজার শান্তিপুর্ণ কোমল আশ্রয়ে থাকিয়া নূতন নূতন ধৰ্ম্মমত স্বজনে মনোনিবেশ করিলেন। বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব সকলে মিলিয়া স্ব স্ব ইষ্ট দেবদেবীয় উপাসনায় নিরত হইয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মের মূলোৎপাটনে যত্নবান হইলেন। হিন্দু স্মৃতিকারগণ “নগ্না” (বৌদ্ধদয়া) দর্শনে প্ৰায়শ্চিত্তের বিধান দিলেন, কাজেই তখন আশ্রয়হীন বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰাম হইতে গ্ৰামান্তরে বিতাড়িত হইতে লাগিল । যে চিন্তাশীলতা দেশ হইতে বৌদ্ধের উচ্ছেদসাধনে যত্নবান হইয়াছিল। তাহাই এক্ষণে আবার বিষ্ণু, শিব ও শক্তি পুজার মধ্যে পার্থক্য আনয়ন করিল। কেহ বিষ্ণুর পদার্শ্ৰয় গ্ৰহণ করিল কেহ শিবকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করিল কেহ বা শক্তি পুজায় নিরত হইল। শৈব রাজা লক্ষণ সেন শেষ বয়সে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে জয়দেবের অমৃতময় “গীতগোবিন্দের” স্বষ্টি হইল। এই খানেই দেশে ভাবী দেশোম্মাদকর। বৈষ্ণব ধর্শ্বের বীজ নিহিত হইল। এই বীজ অম্বুরিত হইয়া অচিরেই বৈষ্ণবধৰ্ম্মরূপী মহাপাদাপের সৃজন করিতে পারিত কিন্তু এই সময়ে মহম্মদ-ই-বখতিয়ার কর্তৃক নবদ্বীপ বিজীত হওয়ায় নবাগত মুসলমান গণের অত্যাচারে হিন্দু মাত্রেই শশব্যস্ত হইয়া উঠিল। হিন্দুর শাস্ত্ৰ, হিন্দুর ধৰ্ম্ম, হিন্দুর আচার অনুষ্ঠান, হিন্দুর শিক্ষা সমস্তই বিজেতা ঘৰান ভূপতির নিকট অনাবৃত হইতে লাগিল; তখন লোকে জাতিধৰ্ম্ম লইয়া শশব্যান্য হইয়া পড়িল। প্ৰতিহত প্ৰভাৰ সম্পন্ন হুৰ্দ্ধান্ত মুসলমানগণের সম্মুখে শান্ত প্ৰকৃতি বৈষ্ণব ও শৈৰ অনেকটা হীনবীৰ্য হইয়া পড়িল। কেবলমাত্র বীরাচারী ভাঙ্গিক গুরুগণ লোককে বামাচায়ী হইয়া শক্তির আশ্রয়গ্ৰহণ পূর্বক অত্যাচারী মুসলমানের হত। ইউডে আত্মরক্ষণ কল্পণে উত্তেজিত ।