পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्मकोझ का?श्• । s লাভ করিয়াছে ; তখন লোকে প্রমাণ, যুক্তি ও তর্ক দ্বারা মীমাংশিত না হইলে কোন কাৰ্য্য করিত না বা কোন বিষয়ই সুসিদ্ধ হইত না। ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, ক্রিয়াকাণ্ড সমগ্র ভুলিয়া কেবল বিদ্যা বিদ্যা করিয়াই তখন নবদ্বীপ উন্মত্ত। এই সাৰ্ব্বজনীন বিদ্যোন্মাদের সম্মুখে তখন পার্থিব ও অপার্থিব সমস্ত বিষয় বিস্মৃতি হইতে বসিয়াছিল। ধৰ্ম্মেরাতে কথাই নাই এমনকি মোহময় সৎসারও উপেক্ষিত হইতেছিল। তাহার ফলে সমাজমধ্যে একদেশদর্শিতা, যথেচ্ছাচারিতা ও বিশৃঙ্খলতা প্রবেশ করিল, তখন দেশ হইতে প্রেমভক্তিময় ধৰ্ম্মভােব অস্তুতি হইয়া গেল । প্রায়শঃ দেখা যায় কোনও একটা বিষয় উন্নতি বা অবনতির চরম সীমায় উপনীত হইলে তখন তাহার পুনরায় পরিবাৰ্ত্তন আরম্ভ হয়। এইরূপে দেশ আধ্যাত্মিক অবনতির চরম সীমায় উপস্থিত হইলে, দেশের এই ভক্তিশূন্য শোচনীয় অবস্থা অবলোকনে নদীয়াবাসী জনকয়েক ভক্ত মহাপুরুষ অতিশয় মৰ্ম্মবেদনা অনুভব করিতে লাগিলেন। এই ভক্তবৃন্দের মধ্যে শান্তিপুর নিবাসী শ্ৰীঅদ্বৈতাচাৰ্য্য অগ্রগণ্য। তিনি পৃথিবীতে ভক্তির অভাব দেখিয়া, কিরূপে এই দুৰ্দশার বিমোচন হয়, কিসে আশু ধ্বংশের হস্ত হইতে জগৎকে রক্ষা করা যায়, কিসে এই পাপ মােহের অবসান হয়, ইহাই চিন্তা করিতে লাগিলেন। তিনি বুঝিতে পারিলেন। ভগবানের করুণা ব্যতীত এই দারুণ দুৰ্গতি দূরীভূত হইবে না, তাই আকুল হািদয়ে, জীবকল্যানার্থ সেই পরদুঃখকাতর মহর্ষি মহাতপে নিযুক্ত হইলেন। তঁহার পুত হৃদয়ের অকপট প্রার্থনা শীঘ্রই পরম পিতার মহাসিংহাসন সন্নিধানে উপনীত হইল। তখন একদিকে উচ্ছਅ তান্ত্রিকের তন্ত্রের নামে যথেচ্ছাচার নিবারণ করিতে নবদ্বীপে যেমন শক্তিধর মহাপুরুষ | কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের আবির্ভাব হইল তেমনি জীবে দয়া, নামে রুচি শিক্ষা দিতে ভক্তাধীন ভগবান ব্যাকুলভক্ত শ্ৰীঅদ্বৈতের মহাকর্ষণে বিচলিত হইয়া স্বয়ং সপরিবারে শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্যরূপে নদীয়ায় অবতীর্ণ হইলেন। শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য । ঐচৈতভার ভাগ্যবান পিতার নাম শ্ৰীজগন্নাথ মিশ্র। পুরন্দর তাহার। আর এৰ উপাধি ছিল। তাহার আদি নিবাস শ্ৰীহটে। তাহারা বৈদিক শ্ৰেণীয় ব্ৰাহ্মণ,