পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a oR. नौ। काहिनी । ভক্তিগ্ৰন্থ তাহার কণ্ঠস্থ থাকিলেও তিনি ভক্তির যাজনা একদিনও করেন নাই। এক্ষণে এই ঘটনার পর হইতেই তাঁহাতে একজন শুদ্ধাচারী বৈষ্ণবের লক্ষণ প্ৰকাশ পাইতে লাগিল। এই সময়ে পরম ভাগবত শ্ৰীপাদ ঈশ্বরপুরী নবদ্বীপে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তঁহার সহিত প্রভুর মৈত্রি জন্মে এবং দুইজনে সর্বদা ভক্তিশাস্ত্ৰ-পাঠন ও ভক্তি কথা প্রসঙ্গে কালাতিপাত করিতেন। কিন্তু ঈশ্বরপুরী শীঘ্রই নবদ্বীপ ত্যাগ করিয়া তীৰ্থ ভ্ৰমণে যাত্ৰা করেন। এখন নিমাইয়ের বয়স মাত্র অনতিক্রান্ত বিংশতি বৎসর। এই অল্প বয়সেই তাহার আচাৰ্য্যখ্যাতি দিগ দিগন্তে পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল। এই সময়ে দয়ালপ্ৰভু একবার পুর্ববঙ্গে পরিভ্রমণে ইচ্ছা করেন এবং জননী ও পত্নী শ্ৰীমতী লক্ষ্মীদেবীর নিকট বিদায় লইয়া সশিষ্য পুর্ব বঙ্গে যাত্রা করেন, এবং শ্ৰীহট্ট, চট্টগ্রাম ও পদ্মা তীরবাঁ। স্থান সমূহ পরিভ্রমণ করিয়া সজ্জন, দুর্জন, আচারী, বিচারী, পতিত, অধম, নীচ কাঙ্গাল ষে যেখানে ছিল সকলকে অকাতরে হরিনাম নিধি বিলাইয়া দেশে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। নিমাই ঘরে ফিরিয়া মাতৃচরণে প্ৰণত হইলেন। পরে যখন শুনিলেন যে তঁহার প্ৰিয়তমা সহধৰ্ম্মিনী তাঁহার বিচ্ছেদ কালের মধ্যে সর্গ দংশনে বৈকুণ্ঠালাভ করিয়াছেন তখন কিয়াৎ কাল স্তব্ধ হইয়া রহিলেন পরে ধৈৰ্য্যাবলম্বন পুৰ্ব্বক শোকাকুলা জননীকে প্ৰবোধ দিলেন । মাতা। আপাতঃ দৃশ্যে প্ৰবুদ্ধ হইলেন বটে কিন্ত সরলমতি পুত্রের ভবিষ্যৎ ভাবনায় বিশেষ চিন্তিত হইলেন। তঁহার আন্তরিক ভয় পাছে বিশ্বকাপের ন্যায় নিমাইও সংসারে বীতরাগ হয়, বিশেষ পুত্রের এই নবযৌবনে তাহকে বন্ধনহীন অবস্থায় সৎসারে রাখিতে শচীমাতার বড় ভয় হইল। তাই অনতিবিলম্বে নিমাইয়ের দ্বিতীয় বার বিবাহ দিতে তিনি উদ্যোগী হইলেন । মাতৃ অনুরক্ত শিশু প্ৰকৃতি নিমাইণ্ড মাতৃ আদেশে রাজপণ্ডিত সনাতন মিশ্রের সুশীলা কন্যা সাক্ষাৎ লক্ষ্মীরূপিণী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর পাণীগ্ৰহণ করিলেন । , বিবাহের পর প্রায় ২ বৎসর কাল নিমাই নবদ্বীপের টোলে অসংখ্য ছাত্র’ বিদ্যাদান করতঃ স্থিরভাবে সংসারে থাকিয়া শচীর মনে হৰ্যোৎপাদনা করিলে।" এই সময়ে অর্থাৎ তাহার একবিংশতি বর্ষ বয়সে এক দিন তিনি পিতৃঋণ প*ি শোধাের্থ গয়াক্ষেত্রে যাইবার নিমিত্ত শচীর অনুমতি প্রার্থনা করিলেন। দেবী শচীদেবী এ বিষয়ে পুত্রকে নিষেধ করিতে পারিলেন না, তাই সম্বে নির্মািধ"