পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौश। काहि भी । R o A সাহসী হইল না। পরে প্রভুর নিকটে আশ্বাস্ত হইয়া ও বর পাইয়া সেই শোকাবহ কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিল । এইরূপে ●थंडू ক্ষৌরকাৰ্য্য সমাধা করতঃ গঙ্গাত্মান পূর্বক ভারতীর নিকট সন্ন্যাস মন্ত্র গ্ৰহণ করিলেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর প্রভুর আর এক জগন্মঙ্গল নাম হইল “শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য”। দীক্ষার পর প্রভু প্ৰেমাবেশে আবিষ্ট হইয়া হুঙ্কার করিতে লাগিলেন ও বাহু জ্ঞান শূন্য হই। যাদৃচ্ছিা গমন করিতে লাগিলেন। পরে কিয়দিবস পথে পথে হরি নাম নিধি বিলাইয়া প্ৰথমে ফুলিয়ায় হরিদাসের আশ্রমে, পরে শান্তিপুরের অদ্বৈত আচাৰ্য্যের গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ভক্তবৃন্দ এমনকি তঁহার পূর্ব নিন্দুকগণও প্ৰভু সন্ন্যাসগ্রহণ করিয়া অতি নিকটেই আসিয়াছেন শুনিয়া, প্রভুকে দেখিতে ফুলিয়া ও শান্তি পুরে অসিয়া মিলিতে লাগিলেন। তখন সমস্ত শান্তিপুরে এক হরিধ্বনি ব্যতীত আর কিছুই শুনা যাইতেছিল না। সেই সংখ্যাতীত ভক্ত কণ্ঠের হরিধ্বনিতে তখন শান্তিপুর মুখরিত। কবির কথায়, তখন প্রেমের বন্যায় “শান্তিপুর ডুবু ডুবু নদে ভেসে যায়।” এই আনন্দ নৃত্যে কএক দিবস অতিবাহিত করিয়া প্ৰভু, মাতা ও ভক্তবুন্দ্বের নিকট বিদায় গ্ৰহণ করতঃ নীলাচল অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন । নীলাচল চন্দ্রের ইন্দু বদন দর্শনের জন্য উৎকণ্ঠিত হইয়া, পথে সৰ্ব্ব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করিয়া প্ৰভু পুরীর পথে অগ্রসর হইলেন । বহু পথ অতিবাহন করিয়া তিনি তঁহার সমভিব্যহারী শ্ৰীপাদ নিত্যানন্দ, পণ্ডিত জগদানন্দ, দ মোদর পণ্ডিত, ও মুকুন্দ দত্ত এই চারি জনকে লইয়া স্বচ্ছন্দে রেমুণায়ু উপস্থিত হইলেন। তখায় প্রেমানন্দে যামিনী যাপন করিয়া তাহারা রেমুনা ও কটকের মধ্যবৰ্ত্তী স্থান ৰাজপুরে অসিলেন । তথা হইতে শ্ৰীসাক্ষীপোপাল দর্শনে গমন করিলেন । পরদিন কমলপুরে উপস্থিত হইয়া মহাপ্ৰভু ভার্গ নদীতে স্নান দানাদি সমাধা পৃথক কপোতেশ্বর দর্শনে গমন করিলেন । নিতানন্দ এই স্থানে প্রতুর সন্ন্যাসের চিন্তু ও সম্বল দণ্ড খানিকে ভগ্ন, করিয়া নদী জলে ভাসাইয়া দিলেন, তদবধি সেই नी “reverei" নামে খ্যাত হইল। কপোতেশ্বর মর্শন করিয়া মহাপ্ৰভু আবার চলিলেন। কমলপুর হইতে কিযুদ্ধৱ ঘাইতেই, পুরীর শ্ৰী মন্দিরের চুড়া সকলের শয়নে উদ্ভাসিত হইল, আর সেই এত দিনের অভীষ্ট বস্তু দর্শনে মহাপ্ৰভু *াবেশে হস্কার করিতে লাগিলেন। এইরূপ ভাবাবেশে পুরী প্রবেশ করিয়া